ঢাকা (ভোর ৫:৪৯) শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং

গাইবান্ধা-৩ উপ-নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ,দলীয় কেন্দ্রীয় নেতাদের নজর কাড়ার চেষ্টায় আছেন যারা

<script>” title=”<script>


<script>

তারেক আল মুরশিদ ,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:  গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদল্লাপুর) আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল
ঘোষণা হয়নি এখনও। এর মধ্যেই শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয়
নেতাদের নজর কাড়ার চেষ্টায় আছেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছেন।
পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নের প্রত্যাশায় নিজ নিজ পক্ষে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার তৎপরতাও অব্যাহত
রেখেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায়
ভোটারসহ এলাকাবাসীর সাথে কুশল বিনিময়ের মধ্যদিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করছেন।
নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ ছাড়াও হাট-বাজার, দোকান-পাট এবং পাড়া-মহল্লাসহ সর্বস্তরের
জনগণের সাথে উঠান বৈঠক তো চলছেই।আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যুর
পর গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর) আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সংবিধান অনুযায়ী কোনো
আসন শূন্য হলে শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ভোটের ব্যবস্থা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ২৭
ডিসেম্বর সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার মৃত্যুবরণ করায় ৯০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হবে সেই হিসেবে
আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে। তাই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য
প্রার্থীরা গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারনা শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের ২৪ জন, বিএনপির ৪,
জাতীয়পার্টির ৩, জাসদ ১ এবং কৃষক শ্রমিক জনতালীগের ১ জনসহ সম্ভাব্য ৩৩ প্রার্থী প্রচারণা শুরুর মধ্যদিয়ে
এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন।গাইবান্ধা-৩ নির্বাচনী আসন একসময় ধরা হত জাতীয়পার্টির ঘাঁটি হিসেবে।
৮৬ সালের ৩য় সংসদ থেকে ২০০১ সালের ৮ম সংসদ পর্যন্ত আসনটি জাতীয়পার্টির দখলে ছিল। তবে সময়ের
পরিবর্তনে এখানে এখন শক্ত অবস্থানে আওয়ামী লীগ। ২০০৮ এ প্রথম এই আসনে জাতীয়পার্টির দূর্গে আঘাত
হেনেছে। সেবার আসনটি চলে যায় মহাজোটের দখলে। এরপর দুটি নির্বাচনেই নৌকার প্রার্থীর জয় জয়কার।
ফলে গাইবান্ধা-৩ আসনটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে বিশেষ করে আওয়ামী
লীগ ও বিএনপি থেকে কে মনোনয়ন পাবেন তা এখনো কেউই আন্দাজ করতে পারছেন না। তবে এই দু’টি দলের
সম্ভাব্য প্রার্থীদের সবাই দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।এ আসনে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যারা আলোচনায় রয়েছেন তারা হলেন- সদ্য প্রয়াত সরকার দলীয় এমপি ডা. ইউনুস আলী
সরকারের ছেলে ড. ফয়সাল ইউনুস, আ’লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) মাহমুদুল হক,
বাংলাদেশ কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম
স্মৃতি, পলাশবাড়ী উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আবু বকর প্রধান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান আলহাজ¦ একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ¦ তোফাজ্জল
হোসেন সরকার, সাদুল্লাপুর উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়ার
খাঁন বিপ্লব, পলাশবাড়ী উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ শামিকুল ইসলাম সরকার লিপন, জেলা
আ’লীগের উপদেষ্টা মাজেদার রহমান দুলু, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট জরিদুল হক, এ্যাড. নুরুল ইসলাম
প্রধান, সদস্য ডা. মাহাবুব আলম, পলাশবাড়ী উপজেলা আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল,
গাইবান্ধা বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা ও ঢাকা সোহওয়ার্দী হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. শাহ মো. ইয়াকুব
উল আজাদ, পলাশবাড়ীর বেতকাপা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল করিম, শিল্পপতি মেজর (অবঃ) আলহাজ¦
মফিজুল হক সরকার, সাদুল্লাপুর উপজেলা আ’লীগের সাবেক নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ
ওয়াহেদ মিয়া, সাদুল্লাপুর উপজেলা আ’লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও গাইবান্ধা জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ

এমএস রহমান, সাদুল্লাপুর উপজেলা মহিলা আ’লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রেহেনা বেগম, আজিজার রহমান
বিএসসি, পলাশবাড়ী উপজেলা আ’লীগ সাবেক সভাপতি মরহুম খন্দকার মতলুবর রহমান নান্নুর মেয়ে খন্দকার
তামান্না শারমিন, শিল্পপতি গোপাল চন্দ্র বর্মন, প্রভাষক গোলাম মাবুদ সরকার মাহমুদ ও আমিনুল ইসলাম দুদু।এ
আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক
ডা. মইনুল হাসান সাদিক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা বিএনপির সদস্য ড. মিজানুর
রহমান মাসুম ও সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন।জাতীয় পার্টির (এরশাদ)
সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর ছেলে মইনুর
রাব্বী চৌধুরী রোমান, ব্যারিষ্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী ও জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ
সম্পাদক মনজুরুল হক সাচ্ছা।এ ছাড়া জাসদ (ইনু) থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান এসএম
খাদেমুল ইসলাম খুদি এবং কৃষক শ্রমিক জনতালীগের জেলা সভাপতি অ্যাড. মোঃ মোস্তফা মনিরুজ্জামান এ
আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন বলে
জানা গেছে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT