গরুর খামার করে স্বাবলম্বী মেঘনার জাকির হোসেন
এইচএম দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা শুক্রবার রাত ১১:০১, ৩০ এপ্রিল, ২০২১
যে কোনো মানুষের সফল হওয়ার পেছনে একটি দীর্ঘ সময় ধরে শ্রম ও সাধনা থাকে। সময়ের মূল্য বুঝে যারা সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করে তারাই তো সফল হয়। তেমনি একজন সফল উদ্যোক্তা উপজেলার মানিকার চর ইউনিয়নের উজানচর নোয়াগাঁও গ্রামের মো.জাকির হোসেন এর সফলতার কথা আজ তুলে ধরবো।
নিজের অদম্য চেষ্টার বিনিময়ে তিনি আজ একজন সফল উদ্যোক্তা। জেএম এগ্রো ফার্ম নামের একটি গরুর খামার রয়েছে। পাশাপাশি তিনি নিজস্ব জমিতে মাটি খনন করে পুকুর তৈরী করে রুই,কাতলা,তেলাপিয়া, চিতলসহ বিভিন্ন জাতের মৎস চাষ করছেন।
জেডএম এগ্রো নামের এই খামারকে প্রতিষ্ঠিত করে আলোর মুখ দেখাতে তিনি দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেছেন।ফার্মের চেয়ারম্যান মো.জাকির হোসেন জানান,”আগামী কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এখানে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের গরু মোটা–তাজাকরণ করা হচ্ছে। উন্নত জাতের দেশী –বিদেশী প্রায় ২০০ টি ষাড় গরু রয়েছে।এগুলো আসছে ঈদুল–আযহাতে কোরবানির হাটে বিক্রি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গরু মোটা তাজা করার পেছনে চলছে হাড়ভাঙা খাটুনি। এসব গরুর পরিচর্যায়ও রয়েছে কয়েকজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী। তারা খামারের গরুগুলোর সেবা যত্ন করছেন।
তিনি আরও জানান, প্রথমেই আমার ইচ্ছে ছিলো একটি গরুর খামার ও মৎস চাষ করার।আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগীতা করেছিলো হোমনা শাখার ব্রাক ব্যাংক। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আমি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করি।
শিক্ষিত বেকার যুবকদের উদ্দেশ্যে মো.জাকির হোসেন বলেন, আমাদের দেশে অনেক তরুণ আছে শিক্ষা জীবন শেষ করে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারছে না। আমি বলতে চাই, নিজে উদ্যোগী হোন। প্রথমে স্বল্প পুঁজিতে ২/৩ টি গরুর পাশাপাশি হাঁস–মুরগী পালন করুন। দেখবেন একদিন নিজে স্বাবলম্বী হয়ে গেছেন।“