কুতুবদিয়ায় ধূরুং বাজারে ঘরসহ পাঁচ দোকান পুড়ে ছাই
শফিউল আলম,কক্সবাজার শুক্রবার সন্ধ্যা ০৬:৪৮, ২০ নভেম্বর, ২০২০
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার বৃহত্তর ধূরুং বাজারে বসত ঘরসহ পাচঁ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে– ২০ নভেম্বর (শুক্রবার) রাত আনুমানিক ৩টায় রুবেল দেব নাথের দোকান থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে এবং পরে ঘরসহ অপর চারটি দোকানে আগুণের লিলা ছড়িয়ে পড়লে দোকানঘর, মালামাল ও নগদ অর্থ পুড়ে ছাই হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয় বলে জানান।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসাীরা হলেন– ০১। জসিম উদ্দিন পিতা– মোজাফ্ফর আহমদের চায়ের দোকান, মালামাল ও নগদ অর্থসহ ক্ষতির পরিমান– ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, ০২। রুবেল দেব নাথ পিতা– মিন্টু দেব নাথের বসতঘর ও মুদির দোকানের মালামাল এবং নগদ অর্থসহ ১২ লক্ষ টাকা, ০৩। নেজাম উদ্দিন পিতা– মৃত আব্দুল হাকিমের চাউল ও পলিথিনের ২টি দোকানে মালামাল ও নগদ অর্থসহ ৩৬ লক্ষ টাকা, ০৪। মোঃ তারেক পিতা– আমান উল্লাহর মুদির দোকানের মালামাল ও নগদ অর্থ ৮ লক্ষ টাকা এবং বোনের বিবাহের জন্য রাখা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং সকলের সর্বমোট– প্রায় ৬৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে সওদাগরদের সুত্রে জানান।
ব্যবসায়ী রুবেল দেব নাথের কাছে আগুণের সুত্রপাতের কথা জানতে চাইলে– তিনি বলেন কিছুদিন পূর্বে আমার সাথে একজনের কথা কাটাকাটি হয়। তিনিই আমার এই ক্ষতির জন্য নাশকতা করতে পারে বলে আমার ধারণা। তার নাম জানতে চাইলে প্রাণ নাশের ভয়ে নাম জানাতে রাজি নন উক্ত ব্যবসায়ী। তবে অন্যান্য ব্যবসায়ীরা আগুণের সূত্রপাতের সু–নির্দিষ্ট কোন তথ্য জানেনা বলে জানান। উপস্থিত জনতাগণ কয়াল থেকে আগুণের সুত্রপাত ঘঠতে পারে বলে ধারণা করছেন।
ধূরুং বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির অফিস সহকারী বেলাল কুতুবী জানান– রুবেলের দোকানে প্রথমে আগুণের সূত্রপাত হয়। পরে অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। দোকানে আগুনের সূত্রপাত দেখে বাজারে ডিউটিরত নৈশ্য প্রহরী ছৈয়দ আলম ডাকাডাকি করলে স্থানীয় জনতা এসে আগুণ নিবারন করেন। তার মধ্যে ঘরসহ ৫টি দোকান পুড়ে যায় এবং ব্যাপক ক্ষতি হয়।
ধূরুং বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমদ চৌধূরী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন– রাতে অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে দ্রুত উক্ত স্থানে এগিয়ে আসেন এবং আগুণ নিবারন কাজে অংশ নেন। ক্ষতিগ্রস্থদেরকে সরকারিভাবে আর্থিক সহয়তার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হবে বলেও জানান।
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মুহাম্মদ হেলাল চৌধূরী, কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জালাল উদ্দিন, জাতীয় পার্টির উপজেলা সদস্য সচিব আলহাজ¦ আব্দুল মোনাফ, ধূরুং বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব কামরুল হাসান সিকদার, আ’লীগ দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের যুগ্ন–সাধারন সম্পাদক জানে আলম সিকদারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি, সচেতন মহল ও সাধারণ জনতা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।