কুতুবজোমের আবুল কালামের প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
শফিউল আলম,কক্সবাজার শনিবার সন্ধ্যা ০৭:১৪, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
মহেশখালীর কুতুবজোমে নির্বাচনি সহিংসতায় নিহত আবুল কালামের প্রকৃত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার এক সংবাদ সম্মলেন করে এই দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ফরিদুল আলম জালালীর পরিবারের লোকজন।সংবাদ সম্মলনে ভোটের দিনের সেই সহিংসতা চিত্র তুলে ধরেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গুলিবিদ্ধ জান্নাতুল ফেরদৌস কাজল।
তিনি বলেছেন,বাদশা মেম্বারের পুত্র তারেক ও রহিম আবুল কালামকে খুন করেছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস কাজল বলেন, আমি ভোট দেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় আকস্মিক আবুল কালামকে গুলি করেন বাদশা মেম্বারের পুত্র তারেক। এর উপর রহিম এসে ছরি মারে আবুল কালামকে। তা দেখে ভয়ে আমি চিৎকার দিলে আমাকে উদ্দেশ্য করে গুলি করে তারেক। গুলির ছররা এসে আমার ও আমার ভাগ্নির শরীরের বিভিন্ন অংশে লাগে।
ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সেলি বলেন, আমি এজেন্টর হিসেবে কেন্দ্রের ভিতরে ছিলাম। ভোট শুরু হওয়ার আধা ঘন্টার পর কেন্দ্রেরর ভেতর প্রবেশ করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন বাদশা মেম্বারের পুত্র রহিম। এতে বারণ করলে প্রার্থী ফরিদুল আলম জালালী, তার ভাই আমজাদ। ভাতিজা একরাম ও বারেককে ছুরিকাঘাত করে রহিম। এক পর্যায়ে কেন্দ্র ত্যাগ করেন তিনি।
মেম্বার প্রার্থী ফরিদুল আলম জালালীর পরিবারের অভিযোগ, বাদশা মেম্বারের ছেলেরা ভোট ডাকাতির জন্য অস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রে হামলা করেছে। তারপরও নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায় তাদের পক্ষের লোক আবুল কালামকে তারেক ও রহিম পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে-যা দিনের মতো স্পষ্ট। কিন্তু একটি উপর মহল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উল্টো ফরিদুল জালালীর পরিবারের কয়েকজনকে মামলায় আসামী করেছে।
সংবাদ সম্মলনে উপস্থিত মেম্বার প্রার্থী ফরিদুল আলম জালালীর মেয়ে ইকরা এমনটি অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, তারা আবুল কালামকে খুন করে তার লাশের উপর দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ভোট ছিনিয়ে নিয়ে মেম্বার হয়েছে।
কিন্তু উল্টো আমাদের মামলার আসামী করা হয়েছে। আমরা এই জঘন্য ও পরিকল্পিত মামলার নিন্দা জানাই। আবুল কালাম হত্যার ঘটনার সঠিক তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি। তদন্তের মাধ্যমে আবুল কালামের প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় হামলায় গুরুতর আহত মেম্বার প্রার্থী ফরিদুল আলম জালালী, আমজাদ ও একরাম এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।