ঢাকা (রাত ১০:৪১) শনিবার, ১৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News হাফেজ-এ- কোরআনদের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায়: আব্দুস সাত্তার Meghna News লোহাগড়ায় পুনুরুজ্জীবিত হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক ”জিয়া মঞ্চ” Meghna News দাউদকান্দিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে নগদ অর্থ ও মাদকসহ দুইজন আটক Meghna News জাতীয় সংসদে কোনো সংরক্ষিত নারী আসন থাকবে না! Meghna News বিস্ফোরক আইনে প্রধান শিক্ষক শফিক গ্রেফতার Meghna News নাগরপুরে বিডি ক্লিনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবারো মারা গেছে মাদ্রাসা ছাত্র Meghna News নেপালে আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হলেন নড়াইলের কৃতি সন্তান সোহাগ Meghna News নড়াইল জেলা ব্লাড ব্যাংকের স্বেচ্ছাসেবী মিলনমেলা অনুষ্ঠিত Meghna News বিএনপির সাবেক এমপির’র বিরুদ্ধে হামলা-দখলের অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন

কবরের-আযাব-সম্পর্কিত একটি ঘটনা – দুধরচকী

ইসলাম ধর্ম ২৩৮৭ বার পঠিত

মেঘনা নিউজ ডেস্ক মেঘনা নিউজ ডেস্ক Clock শুক্রবার রাত ০৮:১১, ৩০ জুন, ২০২৩

আল্লাহর রাসুল (সাঃ) একদিন অনেক গুলো কবর দেখলেন। খুশী হলেন, শেষমেশ একটা কবরের সামনে গেলেন। উনার চেহারা মুবারকে ঘাম দেখা দিল। তিনি অস্থির হয়ে পড়লেন। দুঃচিন্তায় চেহারা কালো হয়ে উঠল, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) পেরেশান হয়ে গেলেন।

 

একজন সাহাবী (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এত পেরেশান কেন ?

 

‘হায়, হায়’ ! তিনি অস্থির হয়ে বললেন, ‘এই কবরের বাসিন্দার উপর ভয়ানক আযাব হচ্ছে । এমনই শাস্তি যা ভাষায় বলা যায় না । আহা ! এই ব্যক্তির কি উপায় ?’

 

বলে তিনি কবরে হাত মুবারক রেখে দোয়া করলেন । কিন্তু চেহারায় প্রশান্তি এলো না ।

 

তিনি বললেন, ‘দোয়া কবুল হচ্ছে না । কোন রহস্যময় কারণে । সাংঘাতিক বড় পাপ করেছে সে।

 

হুজুর (সাঃ) এর উপর অস্থিরতা বেড়েই চললো তিনি বললেন, আমার উম্মতের উপর এমন কঠিন শাস্তি হচ্ছে আর আমি বাড়ী গিয়ে ঘুমাবো ?

 

তিনি একজন সাথীকে ডেকে বললেন, যাও মদীনার বাজারে । সেখানে আওয়াজ দিয়ে ডাকো যাদের আত্মীয়ের কবর এখানে রয়েছে তারা আসার জন্য।

 

তারা এলো।

 

তাদেরকে নিজ নিজ আত্নীয়ের কবরে দাড়াতে বললেন।

 

সবাই দাড়ালো।

 

কিন্তু আশ্চর্য্য ! ওই কবরের পাশে কেউ দাড়ালো না।

 

বেদনায় নীল হয়ে গেলেন হুজুর (সাঃ) অনেক পরে এলো এক বুড়ি! ধীর পায়ে,লাঠিতে ভর দিয়ে সেই বুড়ি দাড়ালেন সেই কবরের পাশে ।

 

হুজুরে পাক (সাঃ) স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন । তারপর বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কার কবর ?’

 

আমার ছেলের বৃদ্ধা বললেন ।

 

আপনার ছেলের কবরে ভয়ানক শাস্তি হচ্ছে ।

 

ইয়া রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এটা কি সত্যি ?

 

রাসুল (সাঃ) বললেন সত্যিই ।

 

শুনে বুড়ি বলে আমি খুব খূশী হলাম ।

 

আল্লাহ মাফ করুন, আপনি এ কি বলছেন মা ? সে আপনার সন্তান !

 

শুনুন তাহলে, হে আল্লহর রাসূল (সাঃ) এই বাচ্চা যখন আমার পেটে তখন তার বাবা মারা যায়। সে পৃথিবীর মুখ দেখল,তার কেউ ছিলো না। আমি নিদারুণ কষ্ট করে তাকে বড় করে তুললাম তিল তিল করে, সে বিয়ে করল,স্ত্রীকে পেয়ে সে ভূলে গেল আমাকে! একদিন তার ভালোবাসার বউ কানে কানে কি যেন বলল। ছেলে রাগে অধীর হয়ে মারতে শুরু করল আমাকে! ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেলাম আমি,জ্ঞান হারালাম?

 

হুশ ফিরলে আমি প্রার্থনা করলাম , আল্লাহর দরবারে। দু’হাত তুলে,বললাম, হে আল্লাহ !

তাকে কবরে শাস্তি দাও, অনন্ত কাল ধরে! দুনিয়াতে দিওনা, চোখের সামনে ছেলের কষ্ট সহ্য করতে পারব না?

 

হে আল্লাহর রাসূল !

আমি এখন এজন্য খূশী যে আমার দোয়া কবূল হয়েছে ।

 

হুজুর (সাঃ) অত্যাচারিতা সরল প্রাণ এই বৃদ্ধার কথা শুনে চোখের পানি চেপে রাখতে পারলেন না, উনার মুক্তার মতো অশ্রু , গাল বেয়ে ফোটায় ফোটায় পড়তে লাগল!

 

খানিকপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, হে বৃদ্ধা মা ! তুমি তোমার ছেলেকে ক্ষমা করো, সে ভয়াবহ শাস্তি পাচ্ছে?

 

বৃদ্ধা মহিলা বললেন, হে রাসূলূল্লাহ (সাঃ) অন্য কিছু বলুন, ছেলেকে ক্ষমা করব না আমি?

 

নিরুপায় হয়ে হুজুর (সাঃ) আকাশের দিকে মূখ তূললেন, কাতর স্বরে বললেন, হে আল্লাহ ! এই বৃদ্ধাকে কবরের শাস্তি দেখাও!

 

চোখের পলকে ঘটনা ঘটল?

 

বৃদ্ধার চোখ বিস্ফোরিত হলো?

সে প্রাণ ফাটা চিৎকার করে বেহুশ হয়ে গেল!

 

খানিক পর, জ্ঞান ফিরল বৃদ্ধার থর থর করে কাপছেন তিনি,তীর খাওয়া কবুতরের মত?

 

তিনি বললেন, ওগো খোদা ! কবরের আযাব কি এমন ভীষণ ! এমন ভয়ানক ! ছেলের পুরো শরীর থেকে চামড়া উঠিয়ে নেয়া হয়েছে । তাকে মুগুর পেটা করা হচ্ছে । হে আল্লাহর রাসূল ! আমি তাকে ক্ষমা করলাম । আপনি দোয়া করুন ।

সে যেন মুক্তি পায় ।

 

হুজুর (সাঃ) হাত উঠালেন, দোয়া শেষ!

 

উনার চেহারা উজ্জ্বল ।

 

প্রকৃতিতে, আকাশে বাতাসে নেমে এল সুমহান সমাহিত পরিবেশ ।

 

গভীর প্রশান্তি – দয়াল নবীর চেহারা মুবারকে । চারদিকে শান্তির ছায়া।

 

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলের মাতা পিতার খেদমত করার তাওফিক দান করুন ও মাতা পিতাকে কষ্ট না দেওয়ার তাওফিক দান করুন আল্লাহুম্মা আমিন।

 

লেখক:- বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT