অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ আজ
নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার সকাল ০৯:৩০, ৬ নভেম্বর, ২০২২
সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। রবিবার অ্যাডিলেইডে প্রোটিয়াদের ১৩ রানে হারিয়েছে ডাচরা। নেদারল্যান্ডসের দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা থেমেছে ১৪৫ রানে। আজ জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেত দক্ষিণ আফ্রিকার।
দক্ষিণ আফ্রিকার হারে সেমিতে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সামনে। এই মাঠে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। বাবর আজমদের হারাতে পারলেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিতে খেলার গৌরব অর্জন করবে বাংলাদেশ।
সুপার টুয়েলভ পর্বে ‘২’ নম্বর গ্রুপে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনো পর্যন্ত শীর্ষে রয়েছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা রয়েছে ৫ পয়েন্টে। এ দুই দল কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও বাংলাদেশ আর পাকিস্তান ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘অলৌকিক’ কিছুর অপেক্ষায় রয়েছে। আজ দক্ষিণ আফ্রিকা খেলবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলে সুপার টুয়েলভের ‘২’ নম্বর গ্রুপ থেকে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে প্রোটিয়ারাই। তবে হেরে গেলে সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে জয়ী দলের। পয়েন্ট সমান হলেও নেট রান রেটে এগিয়ে আছে পাকিস্তানই। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত নিজ নিজ খেলায় জয়ী হলে তখন বাংলাদেশ পাকিস্তান যারাই জিতুক না কেন জয়টা শুধু সান্ত্বনাই হয়ে থাকবে।
প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে পরাজয়ের পর তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে টাইগাররা। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচেই ঘটে বড় ধরনের ছন্দপতন। ভারতের সঙ্গে জিততে জিততে হেরে গিয়ে শেষ চারের আশা অনেকটাই সুদূরে মিলিয়ে যায়। তবে ভারতের সঙ্গে লড়াই করেই হেরেছে বাংলাদেশ। হারলেও এই ম্যাচ থেকে প্রচুর আত্মবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে টাইগারদের মধ্যে। অন্যদিকে, যে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে, সেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে আবার পাকিস্তান উড়িয়ে দিয়েছে ৩৩ রানে।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। ১৭ বারের মোকাবিলায় পাকিস্তান জিতেছে ১৫ বার। বাংলাদেশের দুটি জয়ই ছিল পরপর। ২০১৫ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে প্রথমবার। দ্বিতীয়টি পরের বছর এশিয়া কাপে। দুটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হয়েছিল শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
পাকিস্তানের সঙ্গে মর্যাদার লড়াই সামনে রেখে গতকাল অ্যাডিলেডের রল্টন ওভাল মাঠে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকায় সবাইকে মাঠে দেখা যায়নি। নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া বাকিরা হোটেলেই ছিলেন। তারা জিম করে কিংবা সুইমিংপুলে সাঁতার কেটে সময় পার করেছেন। বাংলাদেশের জন্য বড় সুখবর, ইনজুরি কাটিয়ে পুরোপুরি সুস্থ আছেন লিটন দাস।
আজকের ম্যাচে জয়ের আশা করছে দুই দলই। বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমরা জানি পাকিস্তান কী ধরনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হতে পারে। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে তাদের বিপক্ষে খেলেছি। তাদের জন্য আমাদের অনেক সম্মান আছে। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং নিজেদের সেরাটা দিতে হবে।’
অন্য এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শান মাসুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ থেকে দুই পয়েন্ট পাওয়ার সুযোগ আছে। আমরা চেষ্টা করব ম্যাচটি জিতে অন্য দলগুলোর কাজ কঠিন করতে। এই গ্রুপের শেষ বল হওয়া পর্যন্ত সেমিফাইনালের আশা থাকবে। আমি মনে করি, বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে ভালো সুযোগ আছে।’