করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি প্রতিরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের আজ রোববার ষষ্ঠ দিন চলছে। কঠোর লকডাউন চলাকালেই জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে ৭ জনের দেহে। এসব রোগীদের আবারও পরীক্ষার কথা বলছেন জেলা সিভিল সার্জন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী রোববার দুপুরে জানান, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়েছে ৭ জনের দেহে। তবে এরা কেউই ভারত ফেরত নয়। তাই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নিশ্চিতে আক্রান্তদের আবারও পরীক্ষা করা হবে।
তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমনের হার কমছে। তবে এতে পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে গেছে এখনি বলা যাবেনা। এজন্য আরো কয়েকদিন দেখতে হবে। তিনি জানান, গতকাল শনিবার রাতে রাজশাহীর পিসিআর ল্যাব থেকে আসা রিপোর্টে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার সংক্রমন হার ৫৯ শতাংশ। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই নমুনাগুলো রাজশাহীর ল্যাবে পাঠনো হয়েছিলো। আর গতকাল শনিবার জেলায় র্যাপিড এন্টিজেন টেষ্ট করা হয়েছে ৪৫৩ জনের, এতে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার শনাক্তের হার ১২ শতাংশ। আর এই দুইয়ের গড় সংক্রমন হার ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ জেলায় লকডাউন অনেকটায় কার্যকর হয়েছে। জেলার মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে। এটা ভালো খবর যে আগের দিন তা শতকরা ৪৮ থাকলেও এখন তা শতকরা ২৫ ভাগে নেমে এসেছে।
জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৫৬৭ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আর ১ হাজার ১১৬ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। বর্তমানে করোনা রোগী চিকিৎসাধিন রয়েছেন ৪৫১ জন। তার মানে অবস্থার অনেকটা উন্নতি হযেছে। আর তাই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান তিনি।
উল্লেখ্য ঈদের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমনের হার ৫০ শতাংশের উপরে হলে জেলা জুড়ে গত মঙ্গলবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বত্মক লকডাউন ঘোষনা করেন জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুর হাফিজ। এদিকে লকডাউনের ষষ্ঠ দিনেও তা কার্যকরে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। শহরে পুলিশের ২৭ চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। সকাল থেকে দুরপাল্লা ও অভ্যন্তরীন রুটে বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। ওষুধ, মুদিখানা দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ আছে।