৪০ বছরের নারীকে বিয়ে করলেন ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ, সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়
কামরুজ্জামান শাহীন, ভোলা প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার সকাল ১১:৩১, ১৩ অক্টোবর, ২০২২
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় আব্দুল জলিল ফরাজী ৮০ বছর বয়সে ৪০ বছরের কনের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। বিয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। বিবাহিতদের সুখময় দাম্পত্য জীবন কামনা করে দোয়া ও অভিনন্দন জানিয়েছেন অনেকে আবার সমালোচনাও করেছেন অনেকে। এছাড়া ইতিবাচক মন্তব্যে নবদম্পতিকে দোয়া ও শুভ কামনা জানাচ্ছেন নেটিজেনরা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আবদুল্লাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মাইশা ব্রিকসফিন্ডে আড়াই লাখ টাকা কাবিনে এ বিয়ে হয়। বৃদ্ধ আব্দুল জলিল ফরাজী বাড়ি উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ শিবা গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার আবদুল্লাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মাইশা ব্রিকস ফিন্ডে কাজ করে আসছেন। কনে জাহানারা বেগমের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার জাহানপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের জাহানপুর তুলাগাছিয়া গ্রামে। বিয়ের অনুষ্ঠানে উভয় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল জলিল ফরাজী জানান, ঘটকের মাধ্যমে কনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। উভয়ের সম্পতিতে এ বিয়ে হয়। তিনি বলেন, তার স্ত্রীর মৃত্যু পর তিনি একা হয়ে পড়েছেন। ছেলে-মেয়েরা যে যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। এতে বৃদ্ধ বয়সে দেখভাল করা ও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে তার ছেলে-মেয়েরা ভাবলেন তাদের বাবার একজন সঙ্গী প্রয়োজন। তাদের ইচ্ছায় তাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে। তিনি বলেন, এ বিয়েতে আমি খুশি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। কনে জাহানারা বেগম সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য অতিথিসহ সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি বলেন, দেড় বছর আগে তার স্বামীর মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর সে খুবই অসহায় হয়ে পরেন। তার একটি কন্যা সন্তান ছিল সেও মারা গেছেন। তাকে দেখভাল করার কেউ ছিল না। ঘটকের মাধ্যমে খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চরফ্যাশন উপজেলার আবদুল্লাপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মাইশা ব্রিকসফিন্ডে তাকে (আব্দুল জলিল ফরাজী) কে দেখতে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। সেও এই বিয়েতে খুশি। বর্তমানে সে নতুন স্বামী আব্দুল জলিল ফরাজী কাছেই আছেন।