রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হতে সবার দোয়া ও সমর্থন চান স্বাধীন
রফিকুল ইসলাম,কুষ্টিয়া বুধবার রাত ০৩:২২, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ৯নং রিফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হতে সবার দোয়া ও সমর্থন চান ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুল কবির স্বাধীন।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ৯নং রিফায়েতপুর ইউনিয়নের তরুণ, শিক্ষিত ও ভদ্র ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুল কবির স্বাধীনকে দেখতে চাচ্ছেন ইউনিয়নবাসী।এলাকাবাসী বলেন, ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুল কবির স্বাধীন বর্তমান কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম সারওয়ার জাহান বাদশা এর একান্ত আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব।
এলাকাবাসী জানান, এই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এর প্রতি মানুষ আস্থা হারিয়েছে। কারণ তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও শালিসী বাণিজ্যসহ এলাকায় বিভিন্নভাবে আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ লোকমুখে শোনা যাচ্ছে।এই ইউনিয়নে একটি মার্ডারের ঘটনা ঘটেছিল, এখানে চেয়ারম্যান ১নং আসামী হয়েছিল। এ সমস্ত কারণে আমরা একজন শিক্ষিত ও ভদ্র মানুষকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। সেদিক থেকে ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুল কবির স্বাধীন খুবই উপযুক্ত ও যোগ্য।
স্থানীয়রা বলেন, ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুল কবির স্বাধীন একজন শিক্ষিত, ভদ্র ও মার্জিত ব্যক্তি। তাকে আমরা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই। তারা আরও জানান, ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুল কবির ন্বাধীন নয়নের মত ভদ্র লোক পাওয়ায় বিরল। সে এলাকার গণ্য-মান্য, মুরুব্বী, ছোট-বড় সবাইকে সম্মান ও স্নেহ করে চলেন। তাকে আমরা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই।
ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুল কবির স্বাধীন বলেন, আমি ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কার্যকলাপের মাধ্যমে আমার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি ইঞ্জিনিয়ার শাহিনুল কবির স্বাধীন শুরু করি। আজ অবধি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে আসছি। আমি সমাজকে কলুষমুক্ত করতে চেয়ারম্যান হতে চাই। বিভিন্ন ভাতার কার্ড বিক্রি ও শালিসী বাণিজ্য বন্ধ করতে আমি চেয়ারম্যান হতে চাই। আমি এলাকাকে মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে চাই। আমি সুষ্ঠু ধারায় জনগণের কল্যাণে ও জনসেবায় নিজেকে মেলে ধরতে চাই। আর এজন্যেই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হতে চাই।
তিনি আরও বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণ মোকাবিলায় আমি এলাকায় কাজ করেছি কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম সারওয়ার জাহান বাদশা ভাইয়ের নির্দেশনায়। আমি যতটুকু পেরেছি এলাকাবাসীকে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রতিনিয়ত জনসচেতনায় কাজ করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে ৫০০ শতাধিক পরিবারকে ত্রাণ দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমি গত রমজান ও কুরবানির ঈদের আগে এলাকাবাসীকে শাড়ী, লুঙ্গি, খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা দিয়েছি। যে কেউ আমার বাড়িতে যেয়ে কোন কিছু পায়নি এমন ঘটনা বিরল। আমি ও আমার পরিবার সাধ্যমতো মানুষের সাহায্য ও সহযোগিতা করে থাকি। আমি আমার ইউনিয়নবাসীর দোয়া ও সমর্থন চাই।