মৎস্য উপকরণ বিতরণের তথ্য উপজেলা মৎস্য অফিসার এবং সিআইজিগণের অজানা (পর্ব-০২)
মোঃ কামরুজ্জামান সোমবার রাত ১১:২৫, ১৮ মে, ২০২০
মো. শাকিল হোসেন শওকত, নাগরপুর, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ (পর্ব-০২) টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে ১৭, ১৮ মে রবিবার ও মোসবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মৎস্য সিআইজি খামারিদের প্রণোদনা সহায়তা দেয়া হয়েছে। সোমবার একই পুকুর পাড়ে মাছের পোনা বিতরনের সময় এ বিষয়ে সাক্ষাতকার দিতে অসন্মতি জানায় এবং অফিসে এসে এসব নেয়ার কথা বলে পাশকাটিয়ে যান। এ বিষয়ে তার সাথে অলাপকালে তিনি বলে, সবার মত আমরাও প্রতি কেজি ৩২০ টাকা দরে কেনা হয়েছে এ সব পোনা। বাংলাদেশের কোথাও ৪-৮ ইঞ্চি সাইজের কার্প জাতীয় মাছের পোনা আছে কি না? প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, আামাদের সবাই এভাবেই করেছে। ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল জন প্রতি, মোট ৪,৮০,০০০ টাকা। সিআইজি খামারিদের সাথে কথা জানা যায়, আমাদের জনপ্রতি সিটি ফিড কোম্পানির ২৫ কেজি ওজনের ৮২০ টাকা খুচরা মূল্যে, ৯ বস্তা খাদ্য আর ১টি সাইনবোর্ড দিয়েছে মূল্য অনুমানিক ২০০ টাকা। করোনার কারনে যেখানে সকল খামারিদের গুনতে হচ্ছে লোকসান। সেখানে নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন মৎস্য খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কার্প জাতীয় মাছের পোনার বর্তমান বাজার দর প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১২৫-১৫০ টাকা। সরেজমিনে পুকুওে গিয়ে দেখা যায়, ২ ইঞ্চি থেকে ৪ ইঞ্চি সাইজের বাটা, সিলভার কার্প, ব্রিগেড কার্প, গ্রাস কার্প, থাই পুটি ও রুই মাছের পোনা উল্লেখ্য্ এর বাইরে অন্য প্রজাতির মাছ দৃশ্যমান ছিলো না বল্লেই চলে। আসুন হিসেব করে দেখা যাক মোট কত টাকা প্রতি সিআইজিদের পেছনে খরচ করা হয়েছে। মাছের পেনা ২৫ কেজি ৩২৫ টাকা দরে ৮,১২৫ টাকা, খাদ্য ৯ বস্তা ৮২০ টাকা দরে ৭৩৮০ টাকা, সাইনবোর্ড ২০০ টাকা, হলে মোট খরচ ১৫৭০৫ টাক। যা উপজেলা মৎস্য অফিসের হিসেব মতে খরচ করা হয়েছে ২০ হাজার টাকার মধ্যে। আর যদি আমরা পোনার প্রকৃত সর্বোচ্চ মূল্য ধরে হিসেব করি তবে মোট খরচ দাড়ায় (৩৭৫০+৭২০০+২০০) = ১১,১৫০ টাকা। প্রতি সিআইজি বঞ্চিত হয়েছে ৮,৮৫০ টাকা করে এবং ২৪ জন সিআইজি ২,১২,৪০০ টাকার মৎস্য উপকরন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যথাযথ কর্তপক্ষের এই বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় পদক্ষেপ কামনা করে সুধি মহল।