সড়ক মেরামতের দেড় বছরেই বড় বড় গর্ত, দুর্ভোগে গ্রামবাসী
মোঃ কামরুজ্জামান শনিবার রাত ০৮:৪২, ৬ জুন, ২০২০
মিরু হাসান বাপ্পী, আদমদীঘি প্রতিনিধি: জনদুর্ভোগের অপর আরেক নাম আদমদীঘি – আবাদপুকুর সড়ক। আদমদীঘি সদর হতে কুসম্বী, কেসরতা ও রাণীনগর উপজেলার পারইল পর্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ন সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। রাণীনগর ও আদমদীঘি এই দুই উপজেলার মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় এই জনগুরুত্বপূর্ন সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল। এলজিইডির আওতায় মোট ১৩কিমি রাস্তার মধ্যে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার অধিকাংশ অংশই বেহাল অবস্থা।
এই সড়ক এখন প্রায় বড় বড় পুকুরে পরিনিত হয়েছে। আদমদীঘি উপজেলা কেসরতা, কুসম্বী, মুরাথপুর ও রাণীনগর উপজেলার বাণিজ্যিক রাজধানী আবাদপুকুর থেকে নওগঁা সদর ও বগুড়ায় এই অঞ্চলের প্রায় শতাধিক গ্রামের মানুষরা এই সড়ক দিয়ে ধানসহ পন্য আনা-নেওয়াসহ যাতায়াতের এক মাত্র রাস্তা। আর এক মাত্র রাস্তার বেহাল অবস্থা হওযায় এই অঞ্চলের মানুষকেই প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে।
আদমদীঘি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বছরখানেক আগে খারাপ রাস্তাটি নামে মাত্র সংস্কার করা হয়। সংস্কারের বছরখানেক পরই আবার আদমদীঘি রেলস্টেশন,কুসম্বী ইদগাহ মাঠ ও গুডাইনসহ অধিকাংশ স্থানেই পাকা উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা-খন্দকে। স্থানীয়দের অভিযোগ সড়ক সংস্কার কাজে নিম্ন মানের উপকরন ব্যবহার করে তাড়াহুড়ো করে পাঁকা করার কারণে আবার সড়কে বড় বড় খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। কেসরতা গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস আলী, কুসম্বী গ্রামের আরিফুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন দীর্ঘ দুর্ভোগের পর প্রায় এক বছর আগে এই সড়কের সংস্কার কাজ করা হয়। কিন্তু সংস্কার কাজের বছর পার হতে না হতেই আবার সড়কের অধিকাংশ স্থানেই নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানা-খন্দকের। হালকা বৃষ্টিতেই এসব খানা খন্দকে বাধছে হাটু চল।
এতে প্রতিদিনই এইসব গর্তে যানবাহন আটকে ও উল্টেপড়ে ঘটছে ছোট-বড় নানা দুর্ঘটনার। আর পথচারীদের ভোগ করতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ ও কষ্ট। আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান বলেন পূর্বে এই রাস্তাটি শুধু কার্পেটিং করা হয়েছিলো যার কারণে ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে আবার তা বেহাল হয়ে পড়েছে। তবে আগামী অর্থবছরে এই রাস্তাটির নকশা পরির্বতন করে দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে নতুন করে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। অর্থবরাদ্দ পেলেই নতুন করে এই রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।