মেজর (অবঃ) সিনহা হত্যাকান্ডে ওসি প্রদীপ, লিয়াকতসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মেঘনা নিউজ ডেস্ক বৃহস্পতিবার দুপুর ০১:২১, ৬ আগস্ট, ২০২০
মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যার বিচার চেয়ে টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি আদালতের আদেশ মতে টেকনাফ মডেল থানায় নিয়মিত একটি হত্যা মামলা হিসাবে রুজু করা হয়েছে। বুধবার ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মামলাটি রুজু করা হয়। মামলা নম্বর সিআর : ৯৪/২০২০ ইংরেজি (টেকনাফ)। দন্ডবিধি ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাটি রুজু করার সাথে মামলার এজাহারভুক্ত সকল আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া আসামিরা হলেন-টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (৪৮), বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী (৩১), এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল, কনস্টেবল মোঃ মোস্তফা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ৯ আসামী আগের কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার হয়ে এখন পুলিশ লাইনে রয়েছে।
তার আগে, টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ্ এর দেওয়া আদেশের কপি, সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্টস সহ টেকনাফ মডেল থানায় প্রেরণ করা হয়। মোহাম্মদ ফারুক নামক আদালতের একজন বাহক দিয়ে রাত পৌনে ৯ টার দিকে আদালতের আদেশ সহ অন্যান্য কাগজপত্র টেকনাফ মডেল থানায় পৌঁছানো হয় বলে কক্সবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশেক ইলাহী শাহজাহান নূরী নিশ্চিত করেছেন।
টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক তামান্না ফারাহ্ এর দেওয়া আদেশ অনুযায়ী নিয়মিত মামলা হিসাবে রুজু করায় মামলাটি এখন তদন্তের জন্য টেকনাফ মডেল থানা থেকে র্যাব-১৫ এর কাছে পাঠাতে হবে। র্যাব-১৫ মামলাটি তদন্ত করে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
৩১ আগস্ট খুন হওয়া মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের বড়বোন ও মোঃ শামসুজ্জামানের সহধর্মিণী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস (৪২) বাদী হয়ে ৫ আগস্ট সকালে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের সঙ্গী ও ৩১ জুলাই এর ঘটনায় টেকনাফ পুলিশের দায়ের করা মামলার আসামি সাহেদুল ইসলাম সিফাত সহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।