মেঘনায় বিএনপি নেতা রমিজ গ্রুপ ধাওয়া দিলো অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া গ্রুপকে
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার মঙ্গলবার দুপুর ০২:৪৮, ১ অক্টোবর, ২০২৪
মেঘনা উপজেলার বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব চরমে। এতদিন একে অপরকে বিষোদগার করলেও এবার তা রুপ নেয় প্রকাশ্যে। আজ সকাল ১১ টায় উপজেলা বিএনপির এই দুই গ্রুপ নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে এবার মাঠে মুখোমুখি। জানান দিল কার পায়ের নিচের মাটি কত বেশি।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় বিএনপির প্রভাবশালী নেতা সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মোশাররফ হোসেন পন্থী সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি রমিজউদ্দিন লন্ডনী, আতাউর চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা বিভাগের দায়িত্বশীল নেতা বিভাগের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার অনুসারীরা এই নেতার উপস্থিতিতে
মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার পরিবেশ তৈরি হয়।
রমিজ লন্ডনী ও আতাউর চেয়ারম্যান গ্রুপের তোপের মুখে পড়ে এক পর্যায়ে দৌঁড়ে পালায় অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া ও তার অনুসারীরা। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ৫ আগষ্টের পর
উপজেলা পরিষদে দখল ও টেন্ডারবাজিসহ সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে বাগিয়ে নেন অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া। এ নিয়ে চরম ক্ষিপ্ত হয় এই উপজেলার ত্যাগী বিএনপি প্রভাবশালী নেতা ড. মোশাররফ হোসেনের অনুসারী নেতাকর্মীরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রমিজ লন্ডনী ও আতাউর চেয়ারম্যানের অনুসারীরা উপজেলা চত্বরে গিয়ে কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভূঁইয়া ও তার অনুসারীদের ধাওয়া দিয়ে এলাকা ছাড়া করে দেয়।
সেলিম ভূঁইয়া ও তার অনুসারীদের এলাকা ছাড়া করার পর এবং তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে দুপুর ১টায় মানিকার চর বাজারে রমিজউদ্দীন লন্ডনী ও আতাউর চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করে।
এ বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর ০১৭৩৯০০৫২৪৮ তে কল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয় নি।
ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানতে মেঘনা উপজেলার সাবেক বিএনপি সভাপতি রমিজউদ্দীন লন্ডনী ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর ০১৮১৭০৩৫৫৩৭-তে কল করা হলে তিনি জানান আমি মিটিংয়ে আছে পরে কথা বলব।