বড়লেখায় জামানত হারালেন ১৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী
মোঃইবাদুর রহমান জাকির বুধবার সন্ধ্যা ০৬:০১, ১ ডিসেম্বর, ২০২১
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত একজন ‘নৌকা’র প্রার্থীসহ জামানত হারালেন ৮ ইউনিয়নের ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। জামানত রক্ষার মতোও ভোট পাননি তারা। তৃতীয় ধাপে রোববার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, জামানত হারানো ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বর্ণি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ‘নৌকা’র প্রার্থী মো. জোবায়ের হোসেন। জামানত রক্ষায় তার প্রতীকের প্রয়োজন ছিল ১২৪১ ভোটের। তিনি ভোট পেয়েছেন ১২১১টি।
দাসেরবাজার ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কয়েছ আহমদ ও বিমান কান্তি দাস জামানত রক্ষায় ১২১৫ ভোটের স্থলে যথাক্রমে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৬৪টি ও ৯৬টি।
নিজ বাহাদুরপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবু সাহেদ ১৪৩৫ ভোটের স্থলে ৩৭ ভোট, উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুমিনুর রহমান টনি ১৬১৮ ভোটের স্থলে ৫৫৫ ভোট, দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমির উদ্দিন জামানত রক্ষায় ১৭১৫ ভোটের স্থলে ৭৪ ভোট, সুজানগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ১৩৮২ ভোটের স্থলে ২৪০ ভোট, দক্ষিণভাগ উত্তর ইউনিয়নে জামানত হারিয়েছেন ৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
জামানত ধরে রাখতে তাদের ভোটের প্রয়োজন পড়ে ১১১৩টির। এরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মানিক (৮৪ ভোট), আব্দুল মালিক (৩১ ভোট), মোসাহিদ আহমদ (২৪ ভোট), আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফ হোসেন (৪৯৪ ভোট), বিএনপি-স্বতন্ত্র মোহাম্মদ ময়নুল হক (৮৮২ ভোট), জামায়াত স্বতন্ত্র মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান (৬৪১ ভোট) ও আ’লীগ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আব্দুল জলিল ফুলু (৩৬ ভোট)।
দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নে ৩ জন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত খুঁইছেনে। এরা হলেন- বেলাল খান ওলন (৭০ ভোট), শরফ উদ্দিন (৪৩ ভোট) ও সায়দুর রহমান (১৫০ ভোট)। এই ইউনিয়নে জামানত রক্ষায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ২২০০ ভোটের প্রয়োজন পড়েছিল।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এসএম সাদিকুর রহমান জানান, নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থী মোট কাস্টিং ভোটের আট ভাগের এক ভাগের চেয়েও কম ভোট পেয়ে থাকলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করতে হয়।