বড়লেখায় কোরবানির হাটে দেশীয় বড় গরুর দাম নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা
মোঃ ইবাদুর রহমান জাকির, সিলেট শুক্রবার রাত ০১:৫৯, ২৪ জুলাই, ২০২০
করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর হাট কতটুকু জমবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছেন ব্যাসায়িরা। তবে এসব দুশ্চিন্তা পাশ কাটিয়ে “চান্দগ্রাম” হাটে এবার বড় তারকা হিসেবে আলোচনায় রয়েছে ছোট বালক জামিল এর গরু । গরুই সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হবে বলে ধারণা তাদের। ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৫ফুট, উচ্চতা ৪ ফুট, ওজন ৭ মণ। লাল রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের ষাঁড়টির নাম বিক্রির জন্যই কেবল দেওয়া হয়েছে । লাল শরীরের বসও পিছিয়ে নেই। এই বসের ওজন ৭মণ।
(২৩জুলাই) বৃহঃবার দুপুরে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার খামারি জামিল এর খামারে এই ষাঁড় গরু টির দেখা মিলে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশিয় জাতের গরুটি দেশীয় পদ্ধতিতে নিজের খামারে মোটাতাজা করেছেন তিনি। খামারি জামিল জানান, গরুটি খুব শান্ত স্বভাবের। ওর কোনও রাগ নেই। কারও দিকে তেড়েও আসে না। ৪ বছর ধরে আমি গরুর খামার করছি। ৫ মাস আগে দাম হয়েছে দেড় লাখ টাকায়। তবে ২ লাখ টাকা পেলে গরু টি ছেড়ে দেবেন বলে জানান তিনি। জামিল আরও জানান, প্রতিদিন দুই বেলা ১০ কেজি করে খাবার খায় গরু দুটি। এরমধ্যে রয়েছে গমের ভুসি, ধানের গুঁড়া, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস। এছাড়া মাঝেমধ্যে ভাতও খায়। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার টাকার খাদ্য লাগে। কোনও ধরনের মেডিসিন ব্যবহার করা হয়নি। তবে প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শ নিয়েছি। এদিকে দেখতে প্রতিদিনই লোকজন তার বাড়িতে ভিড় করছেন। গরু দেখতে আসা সাংবাদিক জাবিদ আহমদ , বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিল। তাই দেখতে আসছি। আমি অনেক খামারির কাছে খবর নিয়েছি, এত বড় গরু আর নেই। কিন্তু করোনাকালে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
কেননা, করোনাভাইরাস ও সাধারণ মানুষের পকেটে টাকা না থাকার কারণে এবার সারা দেশের পশুর হাটগুলোতে পশু কম থাকবে। সেই সঙ্গে ক্রেতাও কম থাকবে। কারণ, করোনার কারণে অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আবার অনেকে আর্থিক কারণে পশু কেনার চিন্তাই করবেন না। ফলে লোকসানও বেশি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। করোনাভাইরাসের মধ্যে খামারিরা গরু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।