ঢাকা (রাত ১২:৫১) শুক্রবার, ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

Join Bangladesh Navy


ব্রীজ ও ডাইভারসনের অভাবে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন নাগরপুর- সলিমাবাদ- চৌহালীর সাথে

মো. শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর,টাঙ্গাইল মো. শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর,টাঙ্গাইল Clock বুধবার সন্ধ্যা ০৬:২০, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার কাঠুরী চৌরাস্তায় ব্রিজ ও ডাইভারসনের অভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রায় নাগরপুর- সলিমাবাদ- চৌহালীর সাথে।

সরেজমিনে,  UZHQ- সলিমাবাদ RHD রাস্তায় ৫৪ মি:চেইন ১৫ মি: দীর্ঘ আরসিসি গাডার ব্রীজটির প্রক্কলিত মূল্য ১ কোটি ৩১ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শত ৬৪ টাকা।কিন্ত চুক্তি মূল্য ১ কোটি ৭ লাখ ২৭ হাজার ৯ শত ৫৭ টাকা ৯৬ পয়সা ধার্য্য করে টাঙ্গাইলের আমঘাট রোডের মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজ ১৫ নভেম্বর ২০২০ সালে কাজটি শেষ করার চুক্তিতে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে। পরে, টাঙ্গাইল- ৬ আসনের সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ এ তা অনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ভোধন করেন।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজটি পেয়েই কোন ডাইভারশন নির্মান না করেই, ঐ স্থানের পুরাতন ব্রিজটি ভেঙ্গে বিক্রি করে দেয়। এলাকাবাসীর চাপের মুখে তারা কিছু মাটি ফেলে। তবে, নাগরপুর উপজেলার সহকারী প্রোকৌশলী মো. ময়নুল এর সাথে কথা বলে জানাযায়, কাজ চলাকালীন সময়ের জন্য একটি ৪০ মিটার ইট সোলিং এর ডাইভারসন তৈরী করে কাজটি শুরু কথা। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে বাঁশে সাকো ছাড়া কিছুই দৃশ্যমান হয়নি। উলেখ্য, এলাকাবাসী ও ভাড়ায় চালিত মোরসাইকেলের চালকেরা চাঁদা উঠিয়ে সাকোটি নির্মান করেছে।

এ বিষয়ে সড়ক ব্যবহারকারী আবু বকর বলেন, আমরা অসুস্থ রোগী নিয়ে সময় সময় চিন্তায় থাকি, বিকল্প রাস্তা না করেই পুরাতন ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলায়, আমরা চরম ভোগান্তির মধ্যে আছি। এই সমস্যা থেকে পরিত্রান চাই আমরা।

অপর পথচারী জুয়েল বলেন, কাজটির আগামী ২ মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো শুরুই হয়নি। তার উপর কোন বিকল্প রাস্তা নেই, ফলে সময়, টাকা, পরিশ্রম দুইগুনেরও বেশি লাগছে।

পরিবহন শ্রমিকরা সকলে এক বাক্যে বলে, ব্রিজটির কাজ শেষ না হওয়া এবং ডাইভারসন না থাকায়, আমাদের আয় কমে গেছে, যাত্রীদের খরচ বেড়েছে। মালামাল, রোগী নিয়ে বিরম্বনার শেষ নেই। দ্রুত ডাইভারশন করে যথা সময়ে ব্রিজের কাজটি শেষ হলে সকলে মঙ্গল হয়।

টাঙ্গাইলের আমঘাট রোডের মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজের মিন্টু এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিদ্যুতের খুটি সরাতেই আমাদের ৩ মাস সময় লেগেছে। আমরা ডাইভারশন করার জন্য মাটি ফেলে ছিলাম কিন্তু বন্যায় ক্ষতি হয়েছে। গত ১ বছর সময়ে এর বাইরে তাদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি আর কোন কাজ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করতে পারেননি।

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলার নির্বাহী প্রোকৌশলী মাহাবুব বলেন, আমরা ঠিকাদারকে কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য চাপ দিচ্ছি। বর্তমানে বন্যার কারনে পাইলিং করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাছাড়াও বন্যার আগে নির্ধারিত পাথর না পাওয়া এবং যথা সময়ে পাইলিং করতে না পারায় কাজটি পিছিয়ে গেছে। তবে, আশাকরি দ্রুতই কাজটি শেষ হবে।

 

 




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT