পৌর নির্বাচনের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-৫
রায়হান জামান,কিশোরগঞ্জ বৃহস্পতিবার দুপুর ০৩:০৪, ১৪ জানুয়ারী, ২০২১
কিশোরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম ও এরশাদ খান (অভি) দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড বত্রিশ গ্যাস অফিসের সম্মুখে দুই গ্রুপের প্রচারণাকালে ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিল এরশাদ খান (অভি) ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল পদপ্রার্থী মো. নজরুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই সংঘর্ষ হয়। এতে কাউন্সিল পদপ্রার্থী মো. নজরুল ইসলামসহ উভয় পক্ষের ৫জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে এরশাদ খান (অভি) এর সমর্থক গুরুদয়াল সরকারি কলেজের পিয়ন মো. বরকত মিয়া (৪৫), অপরদিকে মো. নজরুল ইসলাম এর সমর্থক মো.হাসান (১৫) মো. ফাইজুল ইসলাম (৩৫), মো. সোহাগ মিয়া (৪৫) নামে চার ব্যক্তি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই ব্যাপারে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন,আমি এবং আমার সর্মথকরা ৩২ আমলীতলা একটি গণসংযোগ করে বাসায় ফেরার পথে বর্তমান কাউন্সিলর এরশাদ খান (অভি) ও তাঁর সমর্থকরা ঝগড়া করার নিয়তে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একটি মোটরসাইকেল শোডাউন বের করে আমার গণসংযোগের দিকে নিয়ে আসে এবং আমাদের মারাত্মকভাবে ডিস্টার্ব করে। এক পর্যায়ে আমাদের গণসংযোগ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমার এক সমর্থকের শরীরে মটরসাইকেল লাগিয়ে দেয়। তবুও আমি কিছু না বলে বিষয়টি সমাধানে চেষ্টা করি এবং তাদের চলে যেতে বলি ঠিক এই মুহূর্তে এরশাদ খান (অভি) চিৎকার দিয়ে বলে ধর,পরে সাথে সাথে তাদের মটরসাইকেল শোডাউন থেকে এক ছেলে আমাকে একটি ঘুষি মারে এবং তাদের সাথে থাকা ছুরি দিয়ে আমার দুই সমর্থকের হাতে কোপ মারে পরে এলাকাবাসী আহতদের ঘটনাস্থল চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অপর দিকে বর্তমান কাউন্সিলর এরশাদ খান (অভি) এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি এবং আমার সমর্থকরা মোট ১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে আমার ৯নং ওয়ার্ডটি ঘুরে দেখছিলাম। ঠিক এই মুহূর্তে বত্রিশ গ্যাস অফিসের সামনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. নজরুল ইসলামের পানির বোতলের একটি মিছিল লক্ষ্য করি। রাস্তাটি অপ্রসস্ত থাকায় কয়েকটা হর্ণ দেই এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে এবং আমার সমর্থকদের উপর চড়াও হয় এবং তাদের সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার এক সমর্থক গুরুদয়াল সরকারি কলেজের পিয়ন মো. বরকত মিয়া (৪৫)কে কোপিয়ে রক্তাক্ত করে এবং দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পরে স্থানীয়রা এসে রক্তাক্ত বরকত মিয়াকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।