নাঙ্গলকোটে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আইসলোশান সেন্টার
মোঃ কামরুজ্জামান বৃহস্পতিবার রাত ১০:১৯, ২৫ জুন, ২০২০
আরিফুর রহমান, কুমিল্লা প্রতিনিধি: নাঙ্গলকোটে স্থানীয় পাটোয়ারী জেনারেল হসপিটাল ও আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর স্বত্বাধিকারী মোঃ সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারীর নিজ উদ্যোগে নাঙ্গলকোট উপজেলার কমিউনিটি সেন্টারে ১০ শয্যা বিশিষ্ট করোনা আইসোলেশন সেন্টারের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। করোনা পরিস্থিতির সন্তোষজনক উন্নতি না হলে বেড বৃদ্ধির পাশাপাশি আইসলোশান সেন্টারটিকে আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান উদ্যোক্তা মো. সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী। তাঁর এ ব্যতিক্রম উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে। এখানে করোনা পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে ধাবিত হলেও উপজেলা সদরে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় আইসলোশান কিংবা করোনা ওয়ার্ডের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী মো: সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের সু-চিকিৎসার প্রত্যয়ে আইসলোশান সেন্টার চালুর উদ্যোগ নেন। পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা উপজেলা কমিউনিটি সেন্টারটিতে তিনি আইসলোশান সেন্টার গড়ে তুলতে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল এর নিকট আবেদন করেন। নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি পেয়ে সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী তাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ শুরু করেন। প্রায় সপ্তাহ খানেক তিনি কমিউনিটি সেন্টারটিতে রংয়ের কাজ, মোটরপাম্প, ট্যাংক, পাইপ, ইলেকট্রিক, পাখা, লাইট, বোর্ড, থাই এ্যালুমিনিয়াম, দরজা, জানালা, পর্দা লাগানোর কাজ সম্পন্ন করেন। এছাড়া, চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য পৃথক ডিউটি রুমও তৈরি করেন। আইসলোশান সেন্টারটিতে রোগীদের জন্য ১০টি নতুন বেড, অক্সিজেন, মেডিসিন, ইমার্জেন্সি এবং ডাক্তার ও নার্সদের জন্য সকল সুরক্ষা সারঞ্জামাদিরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে কোন সময় আইসলোশান সেন্টারটি উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। আইসলোশান সেন্টারের উদ্যোক্তা মো. সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী জানান, নাঙ্গলকোট একটি বৃহৎ উপজেলা। এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি এখানে করোনা উপসর্গ নিয়ে ইন্তেকাল করেছেন। তিনি আরও জানান, আইসলোশান সেন্টারটিতে বেড বাড়ানোর পাশাপাশি এটিকে পূর্ণাঙ্গ করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতা খুবই জরুরি। স্বাস্থ্যবিভাগ ও সমাজের বিত্তবানদের সার্বিক সহযোগিতায় আইসলোশান সেন্টারটিকে পূর্ণাঙ্গ করোনা হাসপাতালে রূপান্তর সম্ভব বলে তিনি জানান। নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল জানান, নাঙ্গলকোটে উদ্বেগজনক হারে করোনা রোগী বেড়ে চলেছে। করোনা আক্রান্ত কোন ব্যক্তি যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যান সে লক্ষ্যে আইসলোশান সেন্টারটি অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। এ ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।