নাগরপুরে খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের কথা বলে সরকারি জলাশয়ের কেটে মাটি বিক্রি
শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর,টাঙ্গাইল রবিবার বিকেল ০৫:৪২, ৯ মে, ২০২১
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে রাস্তা নির্মোণের কথা বলে সরকারি জলাশয় কেটে মাটি বিক্রয় করছে একটি মহল। অপর দিকে খাল ভরাট করে কথিত রাস্তা নির্মানে ব্যস্ত একটি মহলটি। নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট করে প্রকৃতির পানির প্রবাহে বাঁধা গ্রস্থ করে ভাঙ্গন হুমকিতে ফেলছে জনবসতি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নে জনৈক ব্যক্তির বাড়ির পেছনের খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মানের কথা বলে মাটি কাটা হচ্ছে সরকারি জলাশয় থেকে।
খাল ভরাট করার জন্য ৫২নং বাদ বেহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রায় ১.৫ একর সরকারি জলাশয় থেকে মাটি কেটে বিক্রয় করছে। আর এসব মাটি পরিবহনের জন্য ব্যাবহার করা হচ্ছে রেজিষ্টেশন বিহীন অবৈধ ট্রলি (ট্রাক্টর) ফসলি ধানের জমিসহ, মানুষেরে বাড়ির উপড় দিয়ে বিকট শব্দে পাগল দানবের মত ছুটেছে এসব যান।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই মাটি বিক্রয়ের নৈপথ্যে রয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল। তাদের দাবি রাস্তা মেরামতের নাম করে মাটি বিক্রয় করছে এই সাইফুল। তারা আরে বলেন, ইতিপূর্বে সরকারি রাস্তার গাছ কেটে বিক্রি করেছিল এই সাইফুল মেম্বার। সরকারি সম্পত্তির রক্ষক হয়ে তিনি হয়েছেন ভক্ষক। এমন মেম্বারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেওয়া হলে ভবিষ্যতে দেশ ও এলাকার অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে এসব মেম্বার। তখন হয়তো শুনতে পাবো ইউনিয়ন পরিষদটিই তিনি বিক্রি করে ফেলেছেন।
জলাশয় এর প্বাশবর্ত্তী বাড়ির মালিক মিহিনুর বলেন, সাইফুল মেম্বার একটি রাস্তা মেরামতের কথা বলে জলাশয় থেকে মাটি কেটে প্রতি ট্রলি ৭০০-৭৫০ টাকায় মাটি বিক্রয় করছে। আর কিছু মাটি রাস্তায় ফেলছে।
মাটি বিক্রয় এর ব্যাপারে, সাইফুল মেম্বার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি মাটি বিক্রয় করছি না, আমি রাস্তা নির্মাণ করছি। সরকারি জলাশয় থেকে কিভাবে মাটি উত্তোলন করছেন, প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এবিষয়ে আমি বলতে পারব না স্থানীয় চেয়ারম্যান ভাল বলতে পারবে।
সরকারি জলাশয় থেকে মাটি উত্তোলনের প্রসঙ্গে ভাদ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, কাবিটা প্রকল্পের কাজ চলছে আর এই মাটি আমরা রাস্তায় ফেলছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) মো. আবু বকর জানান, ঐ এলাকায় কোন রাস্তা নির্মাণ কাবিটা নেই। জলাশয় থেকে মাটি উত্তোলনের জন্য কোন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয় নাই।
সরকারি জলাশয় থেকে মাটি কেটে বিক্রি খাল ভরাট করা প্রসঙ্গে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তারিন মাসরুর বলেন, আমাদের অভিযান চলমান আছে, আমরা তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।