নওগাঁর রাণীনগরে কাঁচা বাজারে অস্থিরতা
আবু ইউসুফ,নওগাঁ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৭:২৫, ২৯ অক্টোবর, ২০২০
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের হাট বাজারে লাগামহীন দামে শাকসবজী কেনা বেচা হচ্ছে। ৫০টাকার কেজি দরের নীচে গ্রামীন জনপদের বাজারগুলোতে ভোক্তারা কোন সবজি পাচ্ছেনা। মাঠ পর্যায় প্রশাসনের নজরদারির অভাবে পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে ক্রেতা বিক্রেতা সরকার বেধে দেওয়া দর অমান্য করে চড়া দামে বিক্রেতারা সবজি বিক্রি করায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষরা তাদের বেধে দেওয়া দরে সবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
স্থানীয় পাইকাররা বলছে, প্রতি বছর এই সময়ে প্রচুর পরিমাণ শাকসবজি কৃষকরা গ্রাম পর্যায় থেকে বাজারে অনলেও বন্যা ধকল আর দফায় দফায় অতিবৃষ্টি পাতের কারণে আগাম জাতের সবজি ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় পুরো মৌসুমে সবজি আমদানী কমে যাওয়ায় চড়া দামে বাধ্য কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
উপজেলার কুজাইল বাজারের সবজি ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ জানান, চলতি মৌসুমে সবজি চাষীরা বৃষ্টির কারণে আশানূরুপ সবজি চাষ করতে পারেনি চাষীরা। তাই বাজারে আমদানী কম হওয়ায় পাইকারী কেনা দরের চেয়ে সামান্য কিছু লাভ হাতে রেখে আমি সবজি বেচা-কেনা করি। লাগামহীন ভাবে প্রতি দিনই সবজির দর বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা পর্যায়ে বেচাকেনা করতে গিয়ে খরিদ্দারদের সাথে মাঝে মধ্যেই মনোমালিন্যসহ বাকবিতন্ডার মতো ঘটনা ঘটছে। তার পারও গত সপ্তাহ চেয়ে এই সপ্তাহে সবজির বাজার কিছুটা কমেছে। সরকারি বেধে দেওয়া আলুর প্রতি কেজির দর ৩৫টাকা হলেও আমরা খুচরা বিক্রি করছি ৪০ টাকা। পোটল ৬০, করলা ৬০, বেগুন ৬০, পেঁয়াজ ৮০, কপি ১০০, শিম ১২০, কাঁচা মরিচ ১৬০টাকাসহ অন্যান্য কিছু তরকারি দাম পর্যায় ক্রমে কমছে। তবে স্বাভাবিক পর্যায় আসতে আরো দেরি হবে।
কুজাইল গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক, আফজাল ও বাবু জানান, করোনাকালীন সময়ে এমনিতে আমাদের হাতে কাজ কর্ম নেই। তারপর বাজারে নিত্যপূর্ণ দ্রব্যের মূল্য উর্ধ্বগতি হওয়ায় আমরা পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। সরকারি ভাবে যদি খোলা বাজারে আলুসহ অন্যান্য ভগ্যপর্ণ বিক্রয় করা হতো তাহলে আমরা উপকৃত হতাম।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-মামুন জানান, বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রনে বিভিন্ন হাট ও বাজারে অভিযান চলমান আছে। সরকারি বেধে দেওয়া মূল্যেরচে অধিক দামে বিক্রয়ের অভিযোগ উঠলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।