ঢাকা (দুপুর ১:৫০) রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


ঋণের চাপ সইতে না পেরে ধর্মপাশায় দশম শ্রেণী পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা

মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ Clock বুধবার রাত ০৯:৫০, ৯ মার্চ, ২০২২

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের পাইকুরাটি গ্রামের একটি বসতঘরের ভেতর থেকে প্রীতি রানী দাস (১৬) নামের  শম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ গতকাল বুধবার সকাল ১১টার দিকে উদ্ধার করেছে ধর্মপাশা থানা পুলিশ।

ওই ছাত্রীর বাবা মায়ের করা ঋণের টাকা পরিশোধ করার চাপ সইতে না পেরে ওইদিন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নিজেদের বসতঘরের আঁড়ের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁছিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের পাইকুরাটি গ্রামের বাসিন্দা প্রীতি রানী দাস স্থানীয় গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। তার বাবা স্বপন দাস পেশায় দিনমজুর ও মা উর্মিলা রানী দাস একজন গৃহিনী। ওই ছাত্রীটির বাবা ও মা দুজনে মিলে প্রায় ৬০ হাজার টাকা এনজিও ও এলাকার মানুষজনদের কাছ থেকে ঋণ নেন। ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ওই ছাত্রীটির বাবা-মা ও তার বড় ভাই ৪/৫মাস আগে কাজের সন্ধানে এলাকার বাইরে চলে যান। এ অবস্থায় ওই ছাত্রীটি তার ফুফুর সঙ্গে বসবাস করে আসছিল।

বেরসরকারি সংস্থা (এনজিওর) কর্মীরা প্রায়সই বাড়িতে এসে ওই ছাত্রীটির ওপর পাওনা টাকা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতো। এতে ওই ছাত্রীটির খুব মন খারাপ হতো।

বুধবার সকাল সাতটার দিকে ওই ছাত্রীটির প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে স্থানীয় গাছতলা বাজারে যায়। সেখান থেকে ফিরে এসে সকাল সাড়ে আটটার দিকে সকালের খাবার খেয়ে বিদ্যালয়ের যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় বেসরকারি সংস্থার(এনজিও) এক কর্মী তাদের বাড়িতে এসে কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য তার উপর চাপ সৃষ্টি করে। এতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই এনজিও কর্মী সেখান থেকে চলে যান। এ নিয়ে খুব মন খারাপ হয় তার। এক পর্যায়ে বসতঘরের আঁড়ের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।

ওইদিন দিন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে প্রতিবেশী লোকজন প্রীতি রানী দাস ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে সকাল ১১টার দিকে ওই ছাত্রীটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ওই ছাত্রীটির পরিবারটি খুবই দরিদ্র। তার বাবা-মায়ের ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য পাওনাদারদের কাছ থেকে পাওয়া চাপ সইতে না পেরে ওই ছাত্রীটি আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে এই মৃত্যু নিয়ে পরিবারের  কারও কোনো অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ গ্রহণের আবেদন করায় ওই লাশটি তার বাবা মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT