ঈদ পরবর্তী লক ডাউনের দূরপাল্লার যানবাহনের চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও,মাদারীপুর – শিবচরের- বাংলা বাজার (ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী) ফেরী ঘাটে দেখা যায় উল্টো চিত্র। প্রশাসনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১টি জেলার থেকে যাত্রী বোঝাই করে আসছে বাংলাবাজার (ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী) ফেরিঘাটে।
সরেজমিনে দেখা যায় যাত্রীবাহী বাসগুলোতে মানা হচ্ছে না করোনাকালীন শারীরিক দূরত্ব, সেই সাথে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। অর্থনৈতিক ও শারীরিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা এবং মহামারী করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার রয়েছে ব্যাপক আশঙ্কা । বরিশাল, খুলনা বিভাগের পরিবহন গুলো কোন প্রকার বাধা ছাড়াই চলাচল করছে, বাংলা বাজার (ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী)ফেরী ঘাটে ।
এ বিষয়ে কয়েকজন বাসচালকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই দূরপাল্লার পরিবহন গুলো বাংলা বাজার ঘাটের নিকটবর্তী একটি স্থানে নামিয়ে দিচ্ছে। ভাড়া ও বিভিন্ন বিষয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ,পাশাপাশি বসিয়েও তাদের কাছ থেকে দুই তিন গুণ ভাড়া নিচ্ছে,মানছে না কারো নিষেধাজ্ঞা। বাংলা বাজার (ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী) ফেরী ঘাটে আসাযাওয়ার একমাত্র সড়ক পথ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার থেকে কিভাবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজিম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি জানি না দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল করছে কিনা যদি চলাচল করে তাহলে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামানের কাছে বাস চলাচলের বিষয়ে জানতে চেয়ে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি।