ঢাকা (সকাল ১০:১৭) বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


তজুমদ্দিনে চল্লিশ দিন পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে নামাজ পড়ে পুরস্কার জিতে নিল ২৪ কিশোর

কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা Clock মঙ্গলবার রাত ০৮:৩১, ১১ মে, ২০২১

শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন তজুমদ্দিন উপজেলা জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। সেই ঘোষণায় অকৃষ্ট হয়ে টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে পুরস্কার জিতে নিয়েছে ২৪ কিশোর। তাদের মধ্যে ১২ জনকে বাইসাইকেল ১২ জনকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে তজুমুদ্দিন উপজেলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এ পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হাজরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন লাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দার, সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ রেজাউল ইসলাম ও বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন প্রমূখ।

জানা যায়, তজুমদ্দিনে শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে কয়েকদিন আগে উপজেলা জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, ১৫ বছরের কম বয়সের কিশোররা যদি একটানা ৪০ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে, তাহলে তাদেরকে একটি করে বাইসাইকেল পুরষ্কার দেয়া হবে।

সে ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে এলাকার অনেক কিশোরই নামাজ আদায় শুরু করে। টানা ৪০ দিন নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়েছেন, এমন ২৪ জনের মধ্যে ১২ জনকে বাইসাইকেল আপর ১২ জনকে বিভিন্ন পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।

শিশু-কিশোরদেরকে নামাজের প্রতি আকৃষ্ট ও আল্লাহ ঘর মসজিদমুখি করার লক্ষ্যে আয়োজিত এমন উদ্যোগে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে তারা। তাদের এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে।

বিষয়টি সম্পর্কে মসজিদ কর্তৃপক্ষ বলেন, ঘোষণার পর থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক কিশোর মসজিদে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা শুরু করে। তারা ঠিকমতো নামাজ আদায় করছে কিনা তা হিসার রাখার জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর হাজিরা নেয়া হতো। যদি কেউ কোনো ওয়াক্তে অনুপস্থিত থাকতো তখন তার গণনা বন্ধ করে দেয়া হতো। তবে সে চাইলে তার নাম আবার লিখিয়ে নতুন করে নামাজের দিন গণনা শুরু করতে পারত। এভাবে নিয়মিত যাচাই-বাছাই ও হাজিরার ভিত্তিতে সর্বশেষ ২৪ জন বিজয়ী হয়।

কর্তৃপক্ষ বলেন, প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে তাদের শুধু নামাজই পড়ানো হয়নি। বরং সঠিকভাবে নামাজ শিক্ষা ও নামাজ সম্পর্কে জরুরি মাসয়ালাও শেখানো হয়, সেই সঙ্গে তালিম-তরবিয়ত এবং নামাজের প্রতি মানুষকে আহবানের পাশাপাশি দ্বীনি ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয়েছে।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT