ঢাকা (সকাল ১০:৩৬) বৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঢাকায় ৭১,চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি:আইসিডিডিআরবি

ডেক্স রিপোর্ট ডেক্স রিপোর্ট Clock মঙ্গলবার বিকেল ০৪:১৪, ২২ জুন, ২০২১

রাজধানী ঢাকায় ৭১ শতাংশ ও চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।অর্থাৎ চট্টগ্রামের তুলনায় ঢাকায় অ্যান্টিবডির হার (সেরোপজিটিভিটি) বেশি।

এ ছাড়া বয়স্ক ও তরুণদের মধ্যে অ্যান্টিবডির হার প্রায় সমান। নারীদের মধ্যে অ্যান্টিবডির হার ৭০ দশমিক ছয় শতাংশ, যা পুরুষদের (৬৬ শতাংশ) তুলনায় বেশি। তিন হাজার ২২০ জনের মধ্যে পাঁচ মাস ধরে গবেষণা করে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) এ তথ্য পেয়েছে।

আজ মঙ্গলবার গবেষণার এই তথ্য গণমাধ্যমের কাছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ গবেষণার প্রধান গবেষক ছিলেন আইসিডিডিআরবির ডা. রুবহানা রাকিব ও ড. আবদুর রাজ্জাক। এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এবং জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ এ গবেষণায় অ্যাডভোকেসি পার্টনার হিসেবে কাজ করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইসিডিডিআরবি সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের বিস্তার নির্ণয়ের জন্য এক গবেষণা চালায় ঢাকা ও চট্টগ্রামের বস্তি এবং বস্তিসংলগ্ন এলাকায়। এসব এলাকায় বসবাসকারী করোনার উপসর্গযুক্ত ও উপসর্গহীন ব্যক্তিদের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এ সমীক্ষা চালানো হয়। মোট তিন হাজার ২২০ জনের মধ্যে আন্তবিভাগীয় গবেষণা হিসেবে পরিচালনা করা হয়। গবেষণায় গৃহস্থালি পর্যায়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ, রক্তচাপ ও শরীরের পুষ্টি পরিমাপ এবং রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

এ সমীক্ষার মাধ্যমে সেরোপজিটিভিটি (রক্তে SARS-CoV-2–এর উপস্থিতি) সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল বস্তি এবং বস্তির বাইরে বসবাসকারী মানুষের রক্তে কোভিড-১৯–এর উপস্থিতি এবং তার সম্ভাব্য কারণ নির্ণয় করা। সম্ভাব্য যে কারণগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে, সেগুলো হলো শরীরে অন্য কোনো শ্বাসকষ্টজনিত ভাইরাসের উপস্থিতি, পুষ্টিগত অবস্থা (যেমন : ভিটামিন ডি, জিংক, সেলেনিয়াম) এবং রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা।

গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আরও জানানো হয়-

১. যেসব অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির (মোট তিন হাজার ২০৯) মধ্যে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে শুধু ৩৫ দশমিক পাঁচ শতাংশের ক্ষেত্রে মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।

২. স্বল্পশিক্ষিত, অধিক ওজন, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রয়েছে যাদের, তাদের মাঝে অধিক মাত্রায় সেরোপ্রিভেলেনস (রক্তে কোভিড উপস্থিতির হার) দেখা গিয়েছে।

৩. বার বার হাত ধোয়ার প্রবণতা, নাক-মুখ কম স্পর্শ করা, বিসিজি টিকা গ্রহণ এবং মাঝারি ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করা ব্যক্তিদের মাঝে কম মাত্রার সেরোপ্রিভেলেনস দেখা গেছে।

৪. সেরোনেগেটিভ ব্যক্তিদের তুলনায় সেরোপজিটিভ ব্যক্তিদের মাঝে সেরাম জিংকের মাত্রা বেশি দেখা গেছে। এটাই হয়তো গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মাঝে রোগের মৃদু লক্ষণের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

৫. গবেষণায় ভিটামিন-ডি এর অপর্যাপ্ততার সঙ্গে সেরোপজিটিভিটির কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। বরং গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ভিটামিন-ডি এর উচ্চ মাত্রার ঘাটতি দেখা গেছে।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT