ডাকাতি, চাঁদাবাজ, ছিনতাই ও মাদক নির্মূলে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছেন এসআই নাজমুল
এইচএম দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা বৃহস্পতিবার বিকেল ০৪:৫৮, ২৪ জুন, ২০২১
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী গৌরবের সাথে বীর দর্পে পথ চলছে অবিরাম। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে আজোবধি দেশ,জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণে রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব পালনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ পুলিশ। রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণ আর নিরাপত্তায় পুলিশের
উচ্চপদস্থ অফিসার থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ অফিসাররাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতি মুহুর্তে রাত–বিরাতে কাজ করে চলছেন।
আসলে পুলিশের চাকুরি বড় কষ্টের! দেশ প্রেমের শপথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কাজ করতে করতে সময়ের হিসেব মিলানোটা তাদের জন্য মুশকিল। না হয় সময় মতো ঘুম,না হয় সময় মতো খাওয়া। জীবনের এলোমেলো রুটিন পালন করে নির্বিঘ্নে মানব সেবা করে যাচ্ছে এই পুলিশ বাহিনী। কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদ (পিপিএম) বার জেলায় যোগদান এর পর থেকে জেলা থেকে মাদক,চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস,জঙ্গিবাজ দমনে জিরোটলারেন্স নীতিতে কাজ করছেন এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী ঢাকা–বন্দরনগরী চট্রগ্রাম এর প্রবেশদ্বার দাউদকান্দি থানা এলাকার প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেছেন বেশি।তার সাফ কথা দাউদকান্দি ভালো থাকলে সমগ্র কুমিল্লা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকবে।
সম্প্রতি দাউদকান্দি–চান্দিনা সার্কেল এর জৈষ্ঠ্য সহকারি পুলিশ সুপার মো.জুয়েল রানা দাউদকান্দির গোমতী নদী থেকে কিংবা আশপাশের এলাকাসহ পুরো দাউদকান্দিকে চাঁদাবাজ মুক্ত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি এক সপ্তাহের মধ্য গোমতী নদী থেকে চাঁদাবাজমুক্ত করার অঙ্গীকার করেন। কঠোর হুঁশিয়ারি হিসেবে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়ে চাঁদাবাজমুক্ত দাউদকান্দি গড়ে সারা দেশকে চমকে দেওয়াই তার অঙ্গীকার।
বলছি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি মডেল থানার চৌকশ, মেধাবী একজন এসআই (উপ–পরিদর্শক)এর চাকরিকালীন সময়ের সফলতার কথা।
এসআই নাজমুল হোসেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। পুলিশে চাকরি করেন প্রায় অনেক বছর হলো। মাস তিনেক আগে যোগ দিয়েছেন দাউদকান্দি মডেল থানায়। যোগদান এর পর থেকে পুলিশ বাহিনীর অক্ষুণ্ণ সুনামের পালকে সংযোজন করেন নিজের কৃতিত্ব ও সাফল্য। দেশ প্রেম বুকে রেখে নিজের জীবনের কথা না ভেবে,ভয় ভীতির উর্ধ্বে থেকে দাউদকান্দি থানার বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস,মাদক,চাঁদাবাজ,ডাকাতি ও ছিনতাইরোধে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলছেন। সাধারণ সেবা প্রত্যাশীদের মুখেও এখন এই উপ–পরিদর্শকের প্রশংসা শুনা যাচ্ছে।
গেলো কিছু দিন আগে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক মোটরসাইকেল আরোহী। বিষয়টি ছিলো জটিল। আসামী সনাক্তের বিষয়টি ছিল আরও জটিল। কোনো ক্লু ছিলো না এই হত্যাকান্ডের। কী নৃশংস হত্যাকান্ড! এমন ক্লুলেস হত্যাকান্ডের ঘটনায় অবশেষে দাউদকান্দি –চান্দিনা সার্কেল এর জৈষ্ঠ্য সহকারি পুলিশ সুপার মো.জুয়েল রানা‘র নির্দেশে মডেল থানার অফিসার–ইন–চার্জ মো.নজরুল ইসলাম এর নেতৃত্ব্যে ২৪ ঘন্টায় তিন আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হোন পুলিশের এই উপ–পরিদর্শক নাজমুল।
মাদক, ছিনতাই ও ডাকাতিরোধে এবং চাঁদাবাজমুক্ত পরিবেশ গড়তে অত্যান্ত বিচক্ষণতার সহিত দায়িত্ব পালন করে চলছেন তিনি। ইতোমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে সঙ্গীয় অফিসার ও সঙ্গীয় ফোর্সদের নিয়ে শীর্ষ ডাকাত সর্দারসহ কয়েকজন ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
আদর্শ ও নীতিতে অটল বীর মুক্তিযোদ্ধার এই সন্তান একজন দেশ প্রেমিক পুলিশ অফিসার হিসেবে তাঁর রয়েছে পেশাদারিত্ব দূরদর্শীতা। এই দূরদর্শীতা একদিন তাকে চাকরি জীবনে সফলতার সর্বোচ্চ চূড়ায় নিয়ে যাবে একথা নিঃসন্দেহ বলা যায়।
কথা হয় এসআই (উপ–পরিদর্শক) মো.নাজমুল হোসেন এর সাথে তিনি বলেন,”যে দীপ্ত দেশ প্রেম বুকে নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছি,আমি চেষ্টা করি পুলিশের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে কাজ করতে।
সরকার আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করি দায়িত্ব্যের সবটুকু পালন করতে। আমার দ্বারা যেনো কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানি না হয় সে বিষয়টি আমি গুরুত্ব দেই সর্বদা। আমি চেষ্টা করি আমার কাছে যারা সেবা প্রত্যাশী হিসেবে আসে তাদেরকে আইন মোতাবেক ন্যায়ের পথে সেবা প্রদান করতে। সর্বপোরি রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও জনগণের জালমাল এর নিরাত্তা দিতে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছি–ইনশাল্লাহ।“