করোনা সংঙ্কটে নাগরপুরের অসহায় মানুষের পাশে স্বচ্ছ ইউএনও সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম নাগরপুর
মোঃ কামরুজ্জামান শনিবার সন্ধ্যা ০৭:১৭, ১১ এপ্রিল, ২০২০
মো. শাকিল হোসেন শওকত নাগরপুর, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ মানুষ বাঁচে তার কর্মে। টাঙ্গাইলের নাগরপুরের উপজেলা নির্বাহি অফিসার ইউএনও সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম এমনই এজন। কর্মগুনে স্থান করে নিয়েছেন সবার মাঝে। রয়েছে একজন সৎ দক্ষ জনবান্ধন অফিসার হিসেবে সর্বজন স্বকৃতি তার। যেখানে শত জনপ্রতিনিধি, নেতাকর্মীদের ছায়া আজ দেখা যায় না, সেখানে তিনি ছোট ছোট শিশু সন্তান ঘরে রেখে দুঃখী মানুষের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে ব্যস্তদ দিনরাত। পাশাপাশি করোনা থেকে উপজেলার সকল মানুষের নিঃছিদ্র নিরাপত্তা দিতে আপোষহীন ভাবে সকল ব্যবস্থাও গ্রহণ করছেন তিনি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে দিনরাত নিজের জীবন বিপন্ন করে ছুটে যাচ্ছেন বিপদগ্রস্তদের দুয়ারে। অসহায় ও কর্মহীন মানুষদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের নাগরপুরের ইউএনও একজন ভাল মানুষ। তিনি বাড়ি বাড়ি এসে আমাদের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে গেছেন। আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে ২৬ সদস্যের টিম গঠন করেছেন তিনি। উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে দুই জন করে ২৪ জন এবং সার্বিক বিষয় তদারকির করার জন্য ২জন অফিসার সহ মোট ২৬ সদস্যদের একটি টিম গঠন করেছেন। উপজেলা নির্বাহি অফিসার ইউএনও সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশের অসহায় গরীব ও কর্মহীনদের মাঝে সরকারের সাহায্য সঠিকভাবে বাড়িতে পৌঁছাতে দিতে আমি বদ্ধপরিকর। উপজেলার বাইরে থেকে যে সকল লোকজন এসেছে তাদের হোম কোয়ারান্টাইন এবং করোনা ভাইরাসের কারনে সার্বিক পরিস্থিতিতে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যই এই টিম সার্বক্ষনিক কাজ করবে এই টিমটি। তিনি আরও বলেন, এছাড়াও নাগরপুর মহিলা কলেজের একটি দ্বিতল ভবনকে প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারান্টাইনে রুপান্তর করা হয়েছে। উপজেলা প.প কড়র্মকর্তার নেতৃত্বে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা ও বহিরাগতদের হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি শুরু থেকেই সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যহত রয়েছে। আমাদের মাননীয় সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু মহোদয় ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান দিয়েছেন। তিনি সমাজের বিত্তশালীদের প্রতি দূর্যোগ মোকাবিলায় আহবান জানিয়ে বলেন, আপনারা আমাদের মাধ্যমে অনুদান দিয়ে গরীব দুঃখীদের পাশে দাড়াতে পারেন। হোক তা অর্থ দিয়ে বা খাদ্য সামগ্রী দিয়ে। করোনা মোকাবিলায় এবং ত্রাণ বিতরণের জন্য উপজেলায় হট লাইন খোলা হয়েছে। প্রতিদিন এখান থেকেও ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে মানুষ। এছাড়াও তারা মতামত সহ বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য দিয়ে আমাদের পাশে রয়েছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দূর্যোগের গুরুত্ব অনুযায়ী প্রয়োজনে সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, মানবসেবাই পরম ধর্ম। করোনায় পরিস্থিতিতে কর্মহীন ও হতদরিদ্রের পাশে আমি সর্বদাই আছি। সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো কর্তব্য বলেই আমি মনে করি।