এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে গণধর্ষণ গ্রেফতার নেই একজনও
ইবাদুর রহমান সিলেট,সিলেট রবিবার রাত ০৩:৩৮, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সাইফুর, অর্জুন, রনি, মাছুম, রবিউল ও তারেক। এ ছয়জনের মধ্যে চারজনই সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের আরো কয়েকজন সহযোগীও আছে। সকলেই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।
পাশাপাশি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতার অনুসারী। সে কারণেই তারা বেশ দাপটের সাথে এলাকায় চষে বেড়ায়।
কতিপয় নেতার আশ্রয়–প্রশয় ও দলীয় প্রভাব কাটিয়ে এলাকায় একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটালেও তাদের কিছুই হয়নি। আর এজন্য দিন দিন বেপরোয়া হয়ে ওঠে তারা। কলেজ ক্যাম্পাসে মারামারি থেকে শুরু করে কলেজের ছাত্রাবাস দখলসহ এলাকায় তারা নানান অপরাধ করছে। এরপরও থেমে নেই ছাত্রলীগের এই ক্যাডারবাহিনী।
সর্বশেষ শুক্রবার রাতে কতিপয় ঐ ছাত্রলীগ কর্মীরা এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে পালাক্রমে তরুণীকে ধর্ষণ করে তারা। এরপর শুরু হয় নানান আলোচনা ও সমালোচনা। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে সিলেট, জড়িতদের শাস্তির দাবীবে সরব হয়ে ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আন্দোলনে মাঠে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠন।
তবে এ ঘটনায় শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তদন্ত কমিটি:এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির গনিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও হোস্টল সুপার প্রফেসর আনোয়ার হোসেন চৌধুরীকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ আহমদ বলেন, তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলেই পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।