ঈদে বিনামূল্যে ১০ কেজি চাল পাবে এক কোটি পরিবার
ডেক্স রিপোর্ট সোমবার রাত ০২:৫৩, ৫ জুলাই, ২০২১
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফের (ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং) আওতায় এক কোটির বেশি অতিদরিদ্র ও অসহায় দুঃস্থ পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি হারে চাল দেবে সরকার। এ লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে চাল বরাদ্দ দিয়ে আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি এবং ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৪৮টিসহ মোট এক কোটি ১৭ হাজার ৫৫১টি কার্ডের বিপরীতে ১০ কেজি হারে এক লাখ ১৭৬ দশমিক ৫১ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক ভিজিএফ বরাদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যকে অবহিত করবেন।
বরাদ্দপত্রে বলা হয়েছে, ভিজিএফ উপকারভোগী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আদমশুমারি ২০১১-এর জনসংখ্যা অনুযায়ী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক বরাদ্দ করা ভিজিএফ কার্ড সংখ্যা পুনঃবিভাজন করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। দুঃস্থ ও অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারকে এ সহায়তা দিতে হবে। তবে সাম্প্রতিক বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
যারা এই চাল পাবেন
১২টি শর্ত দিয়ে এর চারটি পূরণ করে এমন ব্যক্তি বা পরিবারকে দুঃস্থ বলে গণ্য করে সহায়তা দিতে হবে। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- যাদের ভিটাবাড়ি ছাড়া কোনো জমি নেই, যে পরিবার দিনমজুরের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে মহিলা শ্রমিকের আয় বা ভিক্ষাবৃত্তির ওপর নির্ভরশীল, যে পরিবারে উপার্জনক্ষম পূর্ণবয়স্ক কোনো পুরুষ সদস্য নেই, যে পরিবারে স্কুলগামী শিশুকে উপার্জনের জন্য কাজ করতে হয়, যে পরিবারে উপার্জনশীল কোনো সম্পদ নেই, যে পরিবারের প্রধান স্বামী পরিত্যক্তা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, যে পরিবারের প্রধান অস্বচ্ছল ও অক্ষম প্রতিবন্ধী, যে পরিবার কোনো ক্ষু্দ্রঋণ পায়নি, যে পরিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে চরম খাদ্য বা অর্থ সংকটে পড়েছে এবং যে পরিবারের সদস্যরা বছরের অধিকাংশ সময় দুই বেলা খাবার পায় না।
ইউনিয়ন/পৌরসভা ভিজিএফ কমিটির প্রকাশ্য সভায় এই তালিকা প্রণীত এবং প্রত্যায়িত হতে হবে। তালিকা এমনভাবে করতে হবে যে, একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ না পায়। বরাদ্দ করা চাল শর্ত মেনে আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে বলে বরাদ্দপত্রে উল্লেখ করা হয়।