ঢাকা (রাত ৯:৩০) সোমবার, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News গৌরীপুরের মিঠু হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নেয়ার দাবি পরিবারের Meghna News সিলেট কোতোয়ালী থানার সাবেক ওসি গ্রেফতার Meghna News সিলেট বিআরটিএ’র দুর্নীতিবাজ এডি ও মোটরযান পরিদর্শক এখনও বহাল তবিয়তে Meghna News ধর্মপাশায় দুইজন দরিদ্র রোগীকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রাদন অনুষ্ঠান Meghna News বাদাম বিক্রেতা থেকে এলজিইডি’র ঠিকাদার মাফিয়া মান্নান! Meghna News সিলেটে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস Meghna News সাঘাটায় নতুন প্রেসক্লাবের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত Meghna News ৫০ মাসের বকেয়া বেতন প্রদাণের দাবীতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন Meghna News আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম Meghna News ময়মনসিংহে সিপিবি’র সমাবেশ ও লাল পতাকার মিছিল

Women’s Day ২০২২ বাঙালি নারীবাদী আন্দোলনের পথিক বেগম রোকেয়া আজ বিস্মৃতির আড়ালে

‌ফিচার নিউজ ২২০৮ বার পঠিত
বেগম রোকেয়া

মেঘনা নিউজ ডেস্ক মেঘনা নিউজ ডেস্ক Clock মঙ্গলবার দুপুর ০৩:৫৬, ৮ মার্চ, ২০২২

১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রদের নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য রাষ্ট্রসংঘ দিবস হিসাবে ৮ মার্চকে ঘোষণা করার আহ্বান জানায়। বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ সাম্যের উদ্দেশ্যে কাজের জন্য এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। মেয়েদের এই বিশেষ দিনে এক বাঙালি মহিয়সী নারীর কথা না উল্লেখ করলেই নয়। তিনি বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত। যিনি এই বাংলার মাটিতে সাহিত্যিক, শিক্ষাব্রতী, সমাজসংস্কারক এবং নারী জাগরণ ও নারীর অধিকার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।

 

আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে এই দিনটিকে বিশেষ ভাবে পালন করা হয়। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও। রাষ্ট্রসংঘ ১৯৭৫ সালের ৮ ই মার্চ নারী দিবস উদযাপন শুরু করে। যদিও এর আগে ১৯০৯-এর ২৮ ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার এই দিবস উদযাপিত হয়েছিল। আমেরিকার সোশ্যালিস্ট পার্টি পোশাক তৈরির শ্রমিকদের সম্মান জানাতে ১৯০৮ সালে ধর্মঘট ডেকেছিল। সেই শ্রমিকদের প্রতি সম্মান জানাতে এই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়। অন্যদিকে, রাশিয়ার মহিলা শ্রমিকরা ২৮ শে ফেব্রুয়ারি নারী দিবস উদযাপনের সময় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এছাড়া, ৮ মার্চ ইউরোপের মহিলারা শান্তিরক্ষা কমিটির কর্মীদের সমর্থনে এক সমাবেশের আয়োজন করেন। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদ সদস্য রাষ্ট্রদের নারী অধিকার ও বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য রাষ্ট্রসংঘ দিবস হিসাবে ৮ মার্চকে ঘোষণা করার আহ্বান জানায়। বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ সাম্যের উদ্দেশ্যে কাজের জন্য এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। মেয়েদের এই বিশেষ দিনে এক বাঙালি মহিয়সী নারীর কথা না উল্লেখ করলেই নয়। তিনি বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত। যিনি এই বাংলার মাটিতে সাহিত্যিক, শিক্ষাব্রতী, সমাজসংস্কারক এবং নারী জাগরণ ও নারীর অধিকার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।

সময়টা উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিক। তখন বাংলার নারী সমাজের জন্য ছিল এক অন্ধকারময় সময়। তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় অংশ জুড়ে থাকতো একটিই শব্দ- “না”। বিশেষ করে মুসলিম মহিলারা থাকতেন এক কঠিন অনুশাসনের ভেতর। কেবল যে তারা বাইরে চলাফেরা করতে পারতেন না তা নয়, তাদের অধিকার ছিলো না শিক্ষায়, জ্ঞানচর্চায় বা মতামত প্রকাশে। কেবল পরপুরুষদের সামনে তাদের আসতে মানা ছিলো তা না, তারা নিজেদের আড়াল করতেন অপরিচিত মহিলাদের সামনেও। কোনো বাইরের লোক যেন তাদের কণ্ঠস্বর না শোনে তাই তাদের রাখা হতো অন্দরমহলে। শুধু বাংলার না, সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশেই মেয়েদের অবস্থা ছিলো অত্যন্ত করুণ। তারপর সমাজে আস্তে আস্তে মেয়েরা এগিয়ে আসলো শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে। সেই বন্দিদশা পার করে আজকে বাংলার নারীরা হয়েছে স্বাধীন, হয়েছে স্বকীয় সত্ত্বার অধিকারিণী। জ্ঞানের আলোর স্পর্শে, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার আলোকে, ব্যক্তিস্বাধীনতায় উজ্জীবিত বাংলার কন্যারা আজ নিজেদের গৃহকোণ থেক এভারেস্টের চূড়া, শিক্ষা থেকে দেশের ভবিষ্যত- সর্বত্র রাখছে নিজেদের প্রতিভার নমুনা। কিন্তু এই পথচলার শুরুটা কি আদৌ সহজ ছিলো? পশ্চাৎপদতা আর আধুনিকতার মাঝে কোন মহৎপ্রাণের ঘাড়ে ভর দিয়ে এসেছিলো এই আলোকিত পথের সন্ধান? উপমহাদেশের, বিশেষ করে বাংলার নারীশিক্ষা ও নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠায় যে মহীয়সী নারীর কথা প্রথমেই আসবে তিনি বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।

বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের পরিচয়

১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর বর্তমানে বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার অন্তর্গত পায়রাবন্দ ইউনিয়নে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। রোকেয়ার পূর্বপুরুষরা মুগল আমলে উচ্চ সামরিক এবং বিচার বিভাগীয় পদে নিয়োজিত ছিলেন। বিয়ের পরে তাঁর নাম হয় রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন। তবে তিনি বেগম রোকেয়া নামেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। ছোট বেলাতেই রোকেয়া স্বপ্ন দেখেছিলেন একদিন প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করে মানুষের মতো মাথা উঁচু করে বাঁচবেন। কিন্তু পারিবারিক পরিবেশ অনুকূলে ছিল না। বাবা জহির উদ্দীন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের প্রকৃত অর্থেই নারী শিক্ষার পক্ষপাতি ছিলেন না। অনেকের মতো তিনিও মনে করতেন পুথিগত বিদ্যা মেয়েদের চক্ষুলজ্জা কমিয়ে দেয়, যা সংসারের অশান্তির কারণ। তিন ভাই, তিন বোনের মধ্যে রোকেয়া ছিলেন পঞ্চম।

নারীশিক্ষা বিস্তার ও সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ

১৮৯৮ সালে বেগম রোকেয়ার বিয়ে হয় বিহারের ভাগলপুর নিবাসী উর্দুভাষী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে। তিনি ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, তদুপরি সমাজসচেতন, কুসংস্কারমুক্ত এবং প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন। বেগম রোকেয়ার জীবনে স্বামী সাখাওয়াৎ হোসেনের প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর সাহচর্যে এসেই বেগম রোকেয়ার জ্ঞানচর্চার পরিধি বিস্তৃত হয়। । ১৯০৯ সালের ৩ মে সাখাওয়াৎ হোসেন মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর পর নিঃসঙ্গ রোকেয়া নারীশিক্ষা বিস্তার ও সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ১৯০৯ সালের ১ অক্টোবর স্বামীর প্রদত্ত অর্থে পাঁচজন ছাত্রী নিয়ে তিনি ভাগলপুরে ‘সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল গার্লস’ স্কুল স্থাপন করেন। কিন্তু পারিবারিক কারণে রোকেয়া ভাগলপুর ছেড়ে কলকাতায় এসে বসবাস শুরু করেন। ১৯১১ সালের ১৬ মার্চ কলকাতার ১৩ নং ওয়ালিউল্লাহ লেনের একটি বাড়িতে মাত্র আটজন ছাত্রী নিয়ে তিনি নতুন করে ‘সাখাওয়াৎ মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন। বেগম রোকেয়ার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ১৯১৭ সালে এই স্কুল মধ্য ইংরেজি গার্লস স্কুলে এবং ১৯৩১ সালে উচ্চ ইংরেজি গার্লস স্কুলে রূপান্তরিত হয়। ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ও প্রাতিষ্ঠানিক কারণসহ অন্যান্য কারণে স্কুলটি বহুবার স্থান বদল করে। অবশেষে ১৯৬৮ সালে এটি ১৭ নং লর্ড সিনহা রোডের নিজস্ব বাড়িতে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়। প্রায় দুই যুগ ধরে বেগম রোকেয়া তাঁর সর্বশক্তি প্রয়োগ করেন স্কুল পরিচালনায়। বিরূপ সমালোচনা ও নানাবিধ সামাজিক প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটিকে সে যুগের মুসলমান মেয়েদের শিক্ষালাভের অন্যতম পীঠস্থানে পরিণত করেন। এটি ছিল তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের বাস্তবায়ন।

 

সাহিত্যিক রোকেয়ার জন্ম

সাহিত্যিক হিসেবে তৎকালীন যুগের প্রেক্ষাপটে রোকেয়া ছিলেন এক ব্যতিক্রমী প্রতিভা। নবনূর, সওগাত, মোহাম্মদী, নবপ্রভা, মহিলা, ভারতমহিলা, আল-এসলাম, নওরোজ, মাহে নও, বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা, The Mussalman, Indian Ladies Magazine প্রভৃতি পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন। তাঁর প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯০৩ সালে নবনূর পত্রিকায়। ১৯০৪ সালে রোকেয়ার প্রথম গ্রন্থ ‘মতিচুর’ প্রকাশিত হয়। পরের বছর প্রকাশিত হয় ‘সুলতানার স্বপ্ন’। একটি ইংরেজি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল বিখ্যাত এই লেখাটি। ১৯০৮ সালে তাঁর স্বামী জীবিত থাকাবস্থায়ই এটি বই আকারে বের হয়েছিল। এই বইয়ে রোকেয়া তাঁর কল্পনা শক্তির সাহায্যে এমন এক নারী সমাজের কথা বলেছেন, যেখানে পুরুষ সমাজকে অবরোধ করে রাখা হয়েছে, আর নারীরা বাইরের দুনিয়ায় বিচরণ করছেন। সেখানে কোথাও কোনো পুরুষনির্ভর কাহিনি নেই। নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তিনি উপলব্ধি করেন, নারীকে মানুষ হিসেবে মানুষের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির প্রয়োজনীয়তার কথাও চিন্তা করেছিলেন তিনি। সাখাওয়াত হোসেন এই জন্য বেগম রোকেয়াকে দশ হাজার টাকাও দিয়েছিলেন। বেগম রোকেয়ার সমগ্র সাহিত্যকর্মের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে সমাজের কুসংস্কার ও অবরোধ প্রথার কূফল, নারীশিক্ষার পক্ষে তাঁর নিজস্ব মতামত, নারীদের প্রতি সামাজিক অবমাননা এবং নারীর অধিকার ও নারী জাগরণ সম্পর্কে তাঁর ধ্যানধারণা। বাল্যবিবাহ এবং বহুবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধেও তাঁর লেখনী ছিল সোচ্চার। পুরুষশাসিত সমাজে নারীর দুরবস্থা এবং দৈহিক-মানসিক জড়ত্ব থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় যে শিক্ষা এ ধারণাই রোকেয়া তুলে ধরেন তীক্ষ্ণ ভাষায় ও তীর্যক ভঙ্গিতে। এক প্রতিকূল সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের খন্ড খন্ড চিত্র ফুটে উঠেছে তাঁর রচনায়। সমাজের নিচুতলার মানুষের জীবনের দুর্দশার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে তাঁর বহু প্রবন্ধ ও রচনায়। ছোটোগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস ও শে­ষাত্মক রচনায় বেগম রোকেয়ার স্টাইল ছিল স্বকীয়। উদ্ভাবনা, যুক্তিবাদিতা এবং কৌতুকপ্রিয়তা তাঁর রচনার সহজাত বৈশিষ্ট্য। তাঁর প্রবন্ধের বিষয় ছিল ব্যাপক ও বিস্তৃত। বিজ্ঞান সম্পর্কেও তাঁর অনুসন্ধিৎসার পরিচয় পাওয়া যায় বিভিন্ন রচনায়।

বাংলার নারী আন্দোলনের ইতিহাসে বেগম রোকেয়ার অবদান চিরঅম্লান। মুসলমান মেয়েদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি এবং তাদের অধিকার আদায়ের জন্য ১৯১৬ সালে বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠা করেন আঞ্জুমানে খাওয়াতীনে ইসলাম বা মুসলিম মহিলা সমিতি। তাঁর জীবনব্যাপী সাধনার অন্যতম ক্ষেত্র এই মহিলা সমিতি। এ সমিতির ইতিহাসের সঙ্গে বেগম রোকেয়ার সংগ্রামী কর্মজীবনের কাহিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মুসলিম মহিলা সমিতি থেকে বহু বিধবা নারী অর্থ সাহায্য পেয়েছে, বহু দরিদ্র মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা হয়েছে, অসংখ্য অভাবী মেয়ে সমিতির অর্থে শিক্ষালাভ করেছে, সমাজ-পরিত্যক্ত অসহায় অনাথ শিশুরা আশ্রয় ও সাহায্য পেয়েছে। শুধু তাই নয়, কলকাতার মুসলমান নারী সমাজের ক্রমোন্নতির ইতিহাসে এই সমিতির উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল। লোকচক্ষুর অন্তরালে এই সমিতি মুসলমান নারীদের কল্যাণে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করেছে। সমিতিতে যোগদানের জন্য রোকেয়া নানা অপবাদ মাথা পেতে নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে মহিলাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। রোকেয়া এই উপমহাদেশের একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষ। নারীশিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে সমগ্র বাঙালি সমাজের তিনি শ্রদ্ধেয়। তবে নারী জাগরণের অগ্রদূত এবং আলোর দিশারী বেগম রোকেয়ার জীবনকাল ছিল মাত্র ৫২ বছর, ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।

বেগম রোকেয়া নারীদের শিক্ষা অর্জনের পথের কাঁটা সরাতে পেরেছিলেন বলেই আজ বাঙালি নারীদের সর্বক্ষেত্রে বিচরণ রয়েছে। দু’হাজার চার সালে বিবিসি বাংলা একটি ‘শ্রোতা সার্ভের’ আয়োজন করে। বিষয়টি ছিলো – সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি কে? তিরিশ দিনের ওপর চালানো সার্ভেতে শ্রোতাদের ভোটে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ ২০জনের জীবন নিয়ে বিবিসি বাংলায় বেতার অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় ২০০৪-এর ২৬শে মার্চ থেকে ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত। বিবিসি বাংলার সেই সার্ভেতে শ্রোতাদের মনোনীত শীর্ষ কুড়িজন বাঙালির তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে আসেন বেগম রোকেয়া। বাঙালির আধুনিক যুগের ইতিহাসে যে নারীর নাম গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয় সেই নাম হচ্ছে রোকেয়া সাখাওয়াৎত হোসেন বা বেগম রোকেয়া। অথচ এমন এক ব্যক্তিত্ব আজও পেলো না তাঁর প্রাপ্য সম্মান। আজও আমরা পারলাম না তাঁকে ও তাঁর আদর্শকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। আজ নারী দিবসে তাই তাঁকে সম্মান জানাতে কেবলই কলমের আঁচড় কাটা।



শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT