সিলেট চা শ্রমিকদের কর্ম বিরতি : বাগান গুলোতে দৈন্যদশা
আবুল কাশেম রুমন মঙ্গলবার রাত ০৯:২১, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
সপ্তাহের মজুরি ও রেশন বকেয়া। এদিকে ৩৭ দিন ধরে কাজ বন্ধ। কোনো ভাবেই আর সংসার সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
একই অবস্থা চা শ্রমিক রিতা গঞ্জুর পরিবারের। পরিবারের আহারে টান পড়েছে। চিকিৎসা বন্ধ হয়ে আছে অসুস্থ মায়ের। অভাব-অনটনে পড়ে দিশেহারা তিনি।
দুলন রিকি হাসনের পরিবারেও স্ত্রীসহ রয়েছে ৩ সন্তান। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।
স্থানীয় চা শ্রমিকদের দাবি, বাগান কর্তৃপক্ষ যদি তাদের পাওনা দ্রুত মিটিয়ে দিতেন, কোনো ভাবে তাহলে বাগানে চায়ের উৎপাদন সচল থাকত। এতে করে চলমান অর্থ সংকট সামাল দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে পারতেন কর্তৃপক্ষ।
চন্ডিছড়া চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি রঞ্জিত কর্মকার জানান, বারবার আশ্বাস দিয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে বাগান কর্তৃপক্ষ। বকেয়া পরিশোধে বিলম্ব হওয়ায় শ্রমিকরা বাধ্য হয়েছে কর্ম বিরতিতে যেতে। এখন এসব বাগানে চায়ের উৎপাদন থমকে গেছে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও দায়িত্বপালনে ব্যর্থতার কারণেই এমনটা হয়েছে।
চন্ডিছড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপক সেলিমুর রহমান জানান, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুতই মুক্তি মিলবে এ অবস্থা থেকে। গত বছরও রেকর্ড গড়ে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে ছিল বাগান গুলো। এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ কোটি ৮০ লাখ কেজি। তবে উৎপাদনে ভাটা পড়ায় সেই লক্ষ্য অর্জন প্রায় অসম্ভব বলে মনে করছেন বাগান কর্তৃপক্ষের একাংশ।