ঢাকা (সন্ধ্যা ৭:১৬) বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিলেটে ভারতীয় চোরাই চিনি কান্ডের অন্তরালে কে এই সাইফুল!

সিলেট জেলা ২১৯ বার পঠিত

আবুল কাশেম রুমন আবুল কাশেম রুমন Clock মঙ্গলবার রাত ১১:৫৮, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪

গত কয়েক মাস ধরে সিলেটে চিনি কান্ডে দেশ জুড়ে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বার- বার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নাম উঠেছে ও অনেককে আবার বহিস্কার করা হয়েছে, কাউকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় রাজনীতে বিব্রত অবস্থায় ছিলো।

সিলেট শহরতলির উমাইরগাঁওয়ে আলোচিত ১৪ ট্রাক ভারতীয় চোরাই চিনি জব্দের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই ট্রাক চালকের জবাবন্দিতে ট্রাক ভাড়া করা ও চোরাই চিনি বহন করার বিষয়ে ঢাকায় বসে নেতৃত্বদানকারী, নারী লোভী, পতিতা সম্রাট, মাদক রাজ্যের মুকুটহীন রাজা, আন্ডারওয়াল্ড চিনি কান্ডের রহস্যময় জুয়াড়ী কে এই সাইফুল? প্রশ্ন উঠছে সচেতন মহলে।

জানা যায় আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে জনৈক এক মন্ত্রীর নিকট আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে সিলেটে সীমন্ত পথে অবৈধ আসা চিনি লাইন ম্যানেজ করতেন বলে বলে অভিযোগ মো.সাইফুল ইসলামের নামে।

ভূইফোঁড় অনলাই টিভি চ্যানেল ২৬ এর চেয়ারম্যান ঢাকার দেওয়াল আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকা জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তা’র সম্পাদক ও প্রকাশক। তাছাড়া তার ফেসকবুক প্রোফাইলে দেখা যায় তিনি শত শত সংগঠন ও বিভিন্ন সংস্থার পরিচয়দানকারী ভূয়া সাংবাদিক ও কথিত একটি সিন্ডিকেটের টিম লিডার।

সিলেটের চিনি কান্ডে জড়িত থাকায় বার বার নাম কথিত সেই সাইফুল ইসলামের, কোন অপরাধী ধরা খেলেই সাইফুল স্যার দেখবেন বলে উল্লেখ করে থাকে। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছেন দৈনিক বিকেল বার্তার কার্ড ব্যবহার কারী সিলেট প্রতিনিধি রানা ও লাকি বেগম ওরফে ল্যাম্পটা লাকি আহমেদ। লাকি আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সিলেট মহা নগর যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলো। যার ফলে ক্ষমতার দাপট ছিলো লাগামহীন।

জানা যায়, সেই বির্তকিত সাইফুলের অফিস ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন,লিফট -৮ তলা) ঢাকা-১০০০ সেই ঠিকানায় অফিস ব্যবহার করে মাফিয়া চক্রের গডফাদার ও মানব প্রচারকারী নারী ও শিশু সাপ্লাইয়ার সাইফুল ইসলাম দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরকার পরিবর্তনের পর পরই সেই অপরাধী তার চেয়ারাও পাল্টিয়ে দিয়েছে। এখন তিনি ঢাকার মতিঝিল থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদবী ব্যবহার করে স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুক ও অফ লাইনে প্রচার প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।

সূত্রে জানা যায়, এক সময় সেই সাইফুল ইসলাম সাপ্তাহিক তৃতীয় মাতা মতিঝিল অফিসে বিট পিয়ন হিসেবে কাজ করতেন, অনেক সময় বসদের চা ও সিগারেট আনা নেওয়া করতো। শিক্ষাগত যোগ্যতায় সাইফুল ইসরাম মাত্র ৫ম শ্রেণী পাস, তিনি কি ভাবে জাতীয় দৈনিক বিকেল বার্তার সম্পাদক হলেন এ প্রশ্ন গণমাধ্যম কর্মীদের।

গণমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তার রয়েছে নিজস্ব ছিনতাইকারী ওপেন সিন্ডিকেট ও ভিক্ষুক বাহিনী, সে জায়গার সর্দার হিসেবে সাইফুলের রয়েছে বিরাট কান্ড কারখানা।

মতিঝিল, রমনা, পুরান ঢাকা, কারওয়ান বাজার, মগবাজার ও তেজগাঁও সহ কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা গুলোতে রয়েছে সাইফুলের বিরাট ভিক্ষকবাহিনী ও ছিনতাইকারী। এই এলাকা গুলোতে সাইফুলের নিজস্ব বাহিনী দারা পরিচালিত অপরাধ কর্মকান্ড নেটওয়ার্কের বিশাল বিস্তার রয়েছে। এতে মাসে তার বিভিন্ন অপরাধ কর্মকান্ডের জায়গা থেকে বখরা আদায়ের লিস্ট অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয় সাইফুল সহ তার সিন্ডিকেটচক্র।

জানা গেছে,সিলেট সদরের উমাইরগাঁওয়ে ১৪ ট্রাক চিনিসহ জব্দ করা একটি ট্রাকের চালক মুনসুর আলীকে (৩৮) গত ১১ জুন ২০২৪ইং গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মুনসুর আলী সিলেট সদর উপজেলার রঙ্গিটিলা গ্রামের রুস্তম আলীর পুত্র। গ্রেফতারের পর দিনই মুনসুর আলী ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সিলেটের মহানগর হাকিম (তৃতীয় আদালত) উম্মে হাবিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একই ঘটনায় শনিবার (২৯ জুন ২৪ইং) গ্রেফতার করা হয় সদরুল আমিন আকাশ (২৮) নামের আরেক ট্রাক চালককে।

সদরুল সিলেট সদর উপজেলার উমদারপাড়ের আফান আলীর পুত্র। গ্রেফতারের পরদিন রোববার (৩০ জুন) সদরুলও একই আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা দু’জন আদালতের আদেশে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

আলোচিত ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত উপরোক্ত দুই আসামি গ্রেফতার হলেও এখনো মূলহোতা সহ জাতীয় পর্যায়ের আন্ডারওয়ার্ল্ড মাফিয়া ডন কথিত সাংবাদিক ও ভূঁইফোড় পত্রিকার সম্পাদক পরিচয়দানকারী এই সাইফুল ইসলাম সহ তার সিন্ডিকেটের বাহিনী এখনো অধরা! রয়েগেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের কারাগার থেকে বের করে আনতে সাইফুল ইসলাম হাইকোর্টে জামিনের জন্য বার ধর্ণা দিয়ে আসছে জানা যায়।

এদিকে চিনি কান্ডে আটক ট্রাক চালক সদরুলের পরিবারের এক সদস্য জানান, আমরা ঢাকার মতিঝিলের সাংবাদিক সাইফুল স্যারের কাছে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে আসছি হাইকোর্টে জামিন নেওয়ার জন্য তিনি আশা করি জামিন এনে দিবেন। তিনি আগেও চিনির লাইন ম্যানেজে অনেক সহযোগীতা করেছেন।

সাইফুলের অনিবন্ধিত টিভি চ্যানেল ২৬ এর ফেসবুক লাইভাররা যা করছেন :

গোঠা সিলেট বিভাগ জুড়ে ভুঁইফোড় অনলাইন পত্রিকা কিং বা বেশির ভাগ ফেসবুক লাইভাররা বিভিন্ন চ্যানেল এর নাম ব্যবহার করে একটি বুম হাতে নিয়ে টিভি চ্যানেল এর মতো লাইভ নিউজ করছে। তার মধ্যে অন্যতম অনিবন্ধিত টিভি চ্যানেল ২৬ এর কিছু ভূয়া সাংবাদিক হিসেবে পুরো সিলেট চসে বেড়াচ্ছে।

বিশেষ করে সিলেট শহর তথা জাফলং, গোয়াইনঘাট, গোলাপগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও শিল্প কল কারখানা খ্যাত উপজেলায় এসব লাইভারের আনাগুনা বেশি দেখা যায়। আর বেশির ভাগ পুলিশ ও বিভিন্ন রাজনীতিবিদের সাক্ষাতকার ও তেলবাজি করে থাকে ওরা। ওদের মুল টার্গেট হচ্ছে সীমান্ত এলাকা,সিলেটের শহরের ৪ জন ফেসবুক লাইভার বেপরোয়া হয়েছে উঠেছে। এর মধ্যে যুব মহিলা লীগ সিলেট মহানগর এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও আওয়ামী প্রচার পরিষদ এর মানবাধিকার সম্পাদক মক্ষী রাণী লাকি আহমেদ চক্রটি এখন সিলেটে শহরের মস্তবড় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয় ও তাছাড়া তাকে সিলেটের বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যয় সিলেট পত্রিকার স্টাফ রিপোটারের পরিচয়ে ও পুলিশ – র‌্যাবের সোর্স ব্যবহার করে মানুষকে হয়রাণীকার অভিযোগে তাকে পত্রিকা থেকে বহিস্কার করা হয়।

এছাড়াও আরো নাম বেনামী অনেক সংস্থা ও পত্রিকা, পেইজ থেকেও সে দফায় দফায় বহিস্কার হয়েছে তার আকাম কুকামের কারণে।

এছাড়া ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং এর কারণে তার বিরুদ্ধে সিলেটের আদালতে সাইবার মামলাও রয়েছে চলমান। এছাড়া বিভিন্ন মানুষের মামলাও রয়েছে লাকির বিরুদ্ধে। ওদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঢাকার ফেসবুক ভিত্তিক টিভি চ্যানেল ২৬ ও জাতীয় দেওয়াল পত্রিকা বিকাল বার্তা’র সম্পাদক ও চেয়ারম্যান, চিনি কান্ডের আন্ডারগ্রাউন্ড ব্যবসায়ী, মাদক সম্রাট ও জুয়াড়ী সাইফুল ইসলাম।

লাকি আহেমদ এখন লোক মুখে ঘুরে বেড়ায় টিভি চ্যানেল ২৬ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসরাম তার স্বামী হিসেবে পরিচয় দিয়ে অপরাধের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

সাইফুলের নিয়োগকৃত ৪ লাইভারদের প্রতিনিধি মানিয়ে সিলেটের সীমান্ত এলাকা ও সিলেটের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, তীর ও জোয়া খেলার বোর্ড থেকে অবৈধ আদায় করা হচ্ছে মাসিক বখরা। সিলেটে এ ৪ লাইভারের বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতারণা ও ব্ল্যাক মেইল এর কারণে ১০/১২ টি মামলা আদালতে চলামান রয়েছে।

এই ভুঁইফোড় অনলাইন ও ফেসবুক লাইভারের বিরুদ্ধে স্থানীয় সাংবাদিক কিংবা ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষ অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই হতে হয় ধর্ষণ কিংবা সাবইবার মামলার শিকার। ভালো মানুষের বিরুদ্ধে তাদের ভূঁইফোড় অনলাইন ফেসবুক পেইজে অশ্লীল ভাষায় লাইভ শুরু করে দেয়। যদিও কোন সময় অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ওদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলেই প্রতিবাদলিপি পাটিয়ে দেয় তাদের চেয়ারম্যান ও ওই দেয়াল পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল। ফোন করে নানা হুমকি প্রদান করে থাকে প্রকাশিত সংবাদ মাধ্যমকে। যা সিলেটের সকল অবৈধ চিনি কান্ড থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে এরা বেপরোয়া উঠেছে এ সিন্ডিকেট চক্র।

উল্লেখ্য, লাইভার লাকি নিজে মাঝে মধ্যে ঢাকায় গিয়ে সাইফুলকে রঙ্গরসে গা ভাসিয়ে দেয় আনন্দ ফূর্তিতে। তখন সে রাতে ঢাকার চয়েজের নাইট ক্লাবে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে মাতলামি সহ সেক্সের সাগরে ডুব দেয় সাইফুল ও লাকি! আর অবশ্য সিলেট থেকে রানা ও জুলহাস এই মক্ষি রাণী লাকিকে সাইফুল সহ অভিজাত হোটেল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে পাঠিয়ে দেয় তারপর সেই মোটা অংকের টাকায় ভাগ বসান সবাই মিলেমিশে।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT