জোরপূর্বক জমি দখল ও গাছ কাটার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন সোমবার সকাল ১০:১৮, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জোরপূর্বক জমি দখল ও গাছ কেটে ফেলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী একটি পরিবার। রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা শহরের বিশ্বরোড মোড়ের একটি অফিসে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ করেন সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের জামতলা শিষাবাগান এলাকার মৃত মোকবুল হোসেনের ছেলে মজিবুর রহমান।
এ সময় জমির মালিক মজিবুর রহমান বলেন, ২০০০ সালে নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের মানিকরা মৌজার ৫৯ নম্বর দাগের ৩৪০ নম্বর খতিয়ানের .০৭৩২ একর জমি কিনে ভোগদখল করে আসছে তার পরিবার। কিন্তু হঠাৎ করেই চলতি বছরের ১৮ জুলাই জেলার অন্যতম শীর্ষ ভূমিদস্যু তরিকুল ইসলাম ওরফে টি ইসলামের নেতৃত্বে ১২-১৪ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী জোরপূর্বক জমি দখল করে তার লাগানো আম, নিম ও তালগাছ কেটে নেয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা।
তিনি আরও বলেন, জোরপূর্বক জমি দখল ও গাছ কাটার খবর পেয়ে জমিতে গিয়ে গাছ কাটছে কেন জানতে চাইলে উল্টো আমাকে নানারকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ সময় আমি জীবন রক্ষা করতে পালিয়ে আসি। পরে ভূমিদস্যু টি ইসলামের শরণাপন্ন হলে তিনি হজ্ব করে ফিরে এসে সমাধান করবেন বললেও একাধিকবার যোগাযোগ করেও এখন পর্যন্ত তার কোন সমাধান হয়নি। এমনকি জমি দখল ও গাছ কাটার প্রতিকার চেয়ে নাচোল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জমি দখল করে গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তরিকুল ইসলাম ওরফে টি ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমার জমিতে থাকা গাছ কেটেছি, অন্য কারো নয়। গত ৬ মাস আগে আমি পৃথক একটি খাতিয়ানের ২৫ বিঘা জমি কিনেছি। মজিবুরের খতিয়ান ও আমার কেনা জমির খতিয়ান আলাদা। ২৫ বিঘা জমির মধ্যে একটি দাগের ২৩ শতকের মধ্যে এখনও ৯ শতক কম রয়েছে।
তবে নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান জানান, প্রায় দুই মাস আগে জমি দখল ও গাছ কাটার একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু থানায় এসব অভিযোগ নেয়া হয়না জানিয়ে আদালতের শরণাপন্ন হতে তাদেরকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মজিবুর রহমানের বোন সুমাইয়া খাতুন, স্ত্রী মুক্তারা খাতুন, প্রতিবন্ধীছেলে পলাশ ও ফিরোজসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।