নাগরপুরে ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় চাচাকে পিটিয়ে আহত করেছে কিশোর গ্যাং
মো.শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর,টাঙ্গাইল সোমবার রাত ০২:৫৫, ২৯ আগস্ট, ২০২২
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা সহবাতপুর ইউনিয়নের ঘুনিগজমতি গ্রামের; মৃত মোতালেব খান এর ছেলে মো. লিয়ন খানের ভাতিজিকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায়; কিশোর গ্যাং তাকে পিটিয়ে জখম করেছে।
২৮ আগষ্ট রবিবার সকালে লিয়নের সাথে সরেজমিনে কথা বলতে সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গিয়ে সে জানায়, গত ২৭ আগষ্ট শনিবার রাত ৭.৩০ মিনিটের সময় বাড়ি থেকে রিক্সায় সহবতপুর যাওয়ার সময়; সহবতপুর ইউনিয়নের বশির একাডেমিক এর কাছে আসলে; হঠাৎ রিক্সা থামিয়ে এলোপাথাড়ি মার শুরু করে প্রায় ৫-৭ জন কিশোর।
বাটাম, লোহার রড ও বাঁশ দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটানোর এক পর্যায়ে লিয়ন মাটিতে পরে যায়।
লিয়নের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে, সবাই পালিয়া যায়। পরে, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাগরপুর সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে থেকে পরিক্ষা-নিরীক্ষা ও পরবর্তী চিকিৎসা নিতে পরামর্শ প্রদান করেন।
এ ঘটনার সাথে জড়িত কয়েক জনকে চিনতে পারেন লিয়ন। তার বর্ননায় মারপিট করে সহবতপুরের আমির মিয়ার ছেলে মো. হৃদয় মিয়া, বুদ্দু মিয়ার ছেলে মো. আকাশ মিয়া, খন্দকার বিপ্লবের ছেলে খন্দকার আসিফ সহ আরো বেশ কয়েক জন।
লিয়ন জানায়, তার ভাতিজি সহবতপুর উচ্চ বিদয়ালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রায় ১ বছর যাবৎ; হৃদয় নামক বখাটে এক কিশোর উত্যক্ত করে আসছিল। ঘটনার আগে বেশ কয়েকবার হৃদয়কে ইভটিজিং না করার জন্য অনুরোধ করে। হৃদয় এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার লোকজনদের লিয়নের ভাতিজিকে নিয়ে নানা রকমের অপপ্রচার করে এবং লিয়নকে পিটিয়ে আহত করে।
মারপিটের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত হৃদয় ও তার সাঙ্গোপাঙ্গের বিষয়ে সহবতপুরের অভিভাবকেরা বলেন, ওরা নেশাগ্রস্ত বখে যাওয়া কিশোর ও যুবক। নিয়মিত মাদক সেবন ও উশৃংখলতাই ওদের মূল কাজ। বিদ্যালয়ের পাশে সারাক্ষণই বাজে আড্ডায় লিপ্ত থাকে ওরা। শিক্ষকরা পর্যন্ত ওদের কিছু বলতে ভয় পান। এলাকায় ওদের মাদক সেবনের বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকবার শাসন করা হয়েছে। তবুও ওরা কারো কথায় কর্ণপাত করে না।
এ বিষয়ে লিয়ন খান নিজে বাদী হয়ে, নাগরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানায়।