ভারতের হিন্দুত্ববাদী মনোভাব নড়াইলের হামলার ঘটনায় ইন্দন যুগিয়েছে
ইকবাল হাসান,নড়াইল সোমবার রাত ০১:৪৬, ১৮ জুলাই, ২০২২
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, কোন স্বজ্জন মুসলমান-সঠিক মুসলমান কারো বাড়ি আগুন দিতে পারে না। মুসলমান নাম থাকলেই মুসলমান হয় না। মুসলমান নাম থাকলেই আল্লাহর বান্দা হয় না। মুসলমান যদি তারা স্বজ্জন মুসলমান না হয়, তবে সে মানুষের অধম।
আজকে শুধু সংখ্যালঘু নামের কারনে দরিদ্র মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। আমাদের সবাইকে মিলে দরিদ্রতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে। আমাদের স্বপ্নই ছিল অসাম্প্রদায়িক। তবে, ভারতের হিন্দুত্ববাদী মনোভাব এ ঘটনায় ইন্দন যুগিয়েছে। এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার নিন্দা জানাই।
রবিবার (১৭ জুলাই) বিকালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়ার সাহাপাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ি, দোকান ও মন্দির ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলি বলেন।
সূত্র জানায়, মহানবী হজরত মোহাম্মদ(সাঃ)-কে নিয়ে ফেসবুকে কটুক্তি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে, বিক্ষুব্ধরা শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সাহাপাড়ার কয়েকটি বাড়িসহ মন্দিরে লুটপাট-ভাংচুর সহ, একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন মাধ্যমে এ খবর পেয়ে রবিবার বিকালে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারি পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
রবিবার বিকালে সাহাপাড়ার গোবিন্দ সাহার বাড়ির উঠানে বক্তব্যকালে সাহাপাড়ার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের উপর হামলা, বাড়িঘর-দোকান ভাংচুর, লুটপাটের নিন্দা জানাই। আমরা মর্মাহত। যারা এ ঘৃনিত ঘটনার সাথে জড়িত তাদের শাস্তির দাবি জানাই।
এসব ধরনের হামলার ঘটনা ঘটার পরে দোষীদের আটক ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিচারের দাবি জানানো হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। আর তাই এসব ঘটনায় দুর্বৃত্তকারীদের উৎসাহ বৃদ্ধি পায়। বিচারটা দ্রুত হওয়া জরুরী। দিনদিন যেন উগ্রতার জমিন সৃষ্টি হচ্ছে।
এসময় দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ বোরহান উদ্দিন, আওয়ামীলীগ নেতা বনি, প্রশাসনের সদস্যরাসহ স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।