ঢাকা (সন্ধ্যা ৬:২৩) বুধবার, ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা Clock মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৬:৪৯, ৭ ডিসেম্বর, ২০২১

গত শনি,রবি ও সোমবার (৪,৫ ও ৬ ডিসেম্বর) ভোলা টাইমসসহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে শশীভূষনে মসজিদের জমি জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদের আমাকে জড়িয়ে বলা হয়েছে শশীভূষণ মৌজায় দিয়ারা ১২৪ নং খতিয়ানে মাঝি বাড়ির দরজার জামে মসজিদের জমি জবর দখল করে পাকা বাড়ি নির্মান করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়।

মুলতঃ ওই মসজিদের জমি দাতা আমার দাদা এছাহাক মাঝি ১৯৮৮ সনে তার মৃত্যুর আগেই মসজিদের ১৬ শতাংশ জমি দান করেন। এবং মসজিদ কমিটিকে দলিলমুলে দানকৃত জমি বুঝিয়ে দেন। দানকৃত ওই জমিতে স্থানীয়রা মসজিদ নির্মান করে নামাজ আদায় করছেন। দাদার মৃত্যুর পর আমার বাবা ইদ্রিস মাঝি ১২৪ নং খতিয়ানের ২১৫ নং দাগে ৪৬ শতাংশ জমির মালিক হন। এবং দাদার ওয়ারিশ ইউনুছ মাঝি ২১৫ নং দাগের তার পাওনা জমি ভাই ইদ্রিস মাঝির সাথে এওয়াজ বদল করে ১৭২ নং দাগের ইদ্রিস মাঝির জমি বুঝে নিয়ে ভোগ দখল করেন। ইদ্রিস মাঝি বাবার ওয়ারিশি ও ভাই ইউনুছ মাঝির সাথে এওয়াজবদল করা জমি সহ ২১৫ নং দাগে ৯২ শতাংশ জমির মালিক হন এবং ওই জমি থেকে বাবা ইদ্রিস মাঝি মসজিদের দেয়া অংশ হিসেবে ৮ শতাংশ মসজিদকে বুঝিয়ে দেন। বাবার বাকী জমি থেকে আমার  কাছে সাব কাবলা দলিল মূলে ২১৫ নং দাগে ৪৮ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। আমি ওই জমি খরিদ করে বসত বাড়ি ও পাকা ঘর নির্মান করে ভোগ দখলে আছি। এবং ওয়ারিশি ভাগভাটোয়ার মতে আমার বাবা এবং অপর চাচারা প্রত্যেকের জমি ভোগ দখলে আছেন। কিন্তু আমার অপর এক চাচা ইউনুছ মাঝি জমি ভাটোয়ারার পর মসজিদের দাগের জমি ছেড়ে না দিয়ে অন্য দাগে অতিরিক্ত জমি ভোগদখলে আছেন। তিনি ওয়ারিশদের অংশ থেকে বেশি জমি ভোগ দখলে থেকে মৃত্যু বরন করেন।

এখন চাচা ইসমাইল মাঝির ওয়ারিশরা আমার খরিদা দখলীয় জমির অংশতে মজিদের জমি পাওনা রয়েছে বলে অপপ্রচার শুরু করেন। আমার চাচা ইসমাইল মাঝির ছেলে ফারুক মাঝি মসজিদ কমিটির সভাপতি হওয়ায় মসজিদকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মসজিদের জমি জবর দখল করেছি বলে অপপ্রচার চালায় যার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই।

প্রকৃত সত্য গোপন করে সাংবাদিকদের ভূল তথ্য দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে সামাজিক ভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তার আদৌ সত্য নয়। আমি এমন অহেতুক মিথ্যা,বানোয়াট, ভিত্তিহীন,সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নাজমা বেগম, সহকারী শিক্ষক, ১৯২ নং উত্তর শশীভূষণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরফ্যাশন,ভোলা।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT