মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৬:১৫, ৯ মার্চ, ২০২১

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা তানভীর হানের উপর গত (১৩ ফেব্রুয়ারী)  শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে অতর্কিত হামলাকারীদের মধ্যে জায়েদ নুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য,উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলা ও ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপের আঘাতে তানভীর হাসান (৩২) নামের এক যুবলীগ নেতা গুরুতর আহত হন। তাঁর বাড়ি উপজেলার রাজাপুর দক্ষিণহাটি গ্রামে।গত ১৩ ফেব্রুয়ারী  শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত তানভীর হাসানকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে তানভীর হাসানের শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কা মুক্ত।

এ ঘটনায় গত (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১খ্রিঃ) রোববার ভোর পাঁচটার দিকে রাজাপুর দক্ষিণহাটি গ্রাম থেকে জিটু মিয়া (৩৮) ও রফিকুল ইসলাম আসন (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নকুন করে জায়েদ নুর নামে আরো একজন গতকাল সোমবার ৮ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের নবীগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর দক্ষিণহাটি গ্রামের বাসিন্দা তানভীর হাসানের(৩২) সঙ্গে একই ইউনিয়নের রাজাপুর বড়কান্দা গ্রামের ইমামুল মিয়ার (৪০) গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পক্ষে- বিপক্ষে থাকাসহ পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তানভীর নিজ ইউনিয়নের রাজাপুর বাজার থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে পৌঁছামাত্রই আগে থেকে রামদা,কিরিচ,ছোরাসহ বিভিন্ন ধরণের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওৎ পেতে থাকা ইমামুল মিয়া ও তার ছোট ভাই এনামুল মিয়ার (৩০) নেতৃত্বে ১০-১২জন মিলে তানভীরের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তানভীরের মাথা,পিঠ, বুক,কাধ,কোমর, দুই হাত ও দুই পায়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসেন বলেন,সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ধর্মপাশা থানার এসআই সুমনুর রহমান সুনামগঞ্জ শহরের নবীগর এলাকা থেকে সোমবার রাতে জায়েদনুর নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে, বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান।