রেলওয়ে জায়গার উপর অবৈধভাবে পাকা ঘর নির্মাণ
মোঃআতিকুর হাসান,আদমদিঘী,বগুড়া রবিবার দুপুর ০২:৪১, ৩ জানুয়ারী, ২০২১
বগুড়ার সান্তাহারে রেলওয়ের জমিতে কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে অবৈধভাবে পাকা বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আতিকুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি আইনের নীতিমালা না মেনে সান্তাহার পৌর শহরের পান্নার মোড়ের উত্তর পার্শ্বে একটি রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণের কাজ করছেন।
স্থানীয় রেল কর্তৃপক্ষ তাকে নিষেধ করলেও প্রভাব খাটিয়ে নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। রেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ করায় স্থানীয়দের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তার খুটির জোর কোথায়? অনেকে আবার রেল কর্তৃপক্ষের নিরব ভূমিকায় প্রশ্ন তুলছেন।
জানা যায়, বগুড়ার সান্তাহার ঐতিহ্যবাহী রেলওয়ে জংশন যেখানে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি থাকা সত্বেও যার বেশির ভাগই দখল করে ভোগ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।
রেললাইনের বাইরে থাকা বেশির ভাগ জমি রয়েছে বেদখলে। রেলের কর্তৃপক্ষের জোরালো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় দখল করা জমি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় রেল বিভাগের লোকজন দেখেও দিনের পর দিন নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে। এতে বছরের পর বছর রেলের জমি বেদখলেই থেকে যাচ্ছে। ফলে বাড়ছে দখল হওয়া জমির পরিমাণ। আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এমন টাই বলছেন সচেতন মহল। তাদের দাবি কতৃপক্ষ চাইলে যেকোন সময় বেদখলে থাকা এসব সম্পত্তি উদ্ধার করা সম্ভব।
বাড়ি নির্মাণকারী আতিকুজ্জামান বলেন, এ জমি লিজ নেওয়া আছে। অন্যরা রেলওয়ের জমিতে যেভাবে বাড়ি তৈরি করছেন আমিও সেভাবে করছি। এষ্টেট বিভাগের সান্তাহার রেলওয়ে কানুনগো কার্যলয়ের আমিন আলিমুর রাজিব সাংবাদিকদের বলেন, আতিকুজ্জামানকে নিষেধ করা হয়েছে। বাড়ি করার তার কোন অনুমোদন নাই সে জোর পূর্বক কাজটা করছে।
এ ব্যাপারে সান্তাহার রেলওয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে) আফজাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, রেলওয়ে সরকারি জমিতে পাকা বাড়ি নির্মাণের কোনো অনুমতি নাই। তাকে নিষেধ করা হয়েছে। থানায় ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।