সুনামগঞ্জ সীমান্তে কয়লা নিয়ে সংঘর্ষ,নারীসহ আহত ১২
মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ সোমবার সন্ধ্যা ০৬:৫৮, ২ নভেম্বর, ২০২০
সুনামগঞ্জের চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ২ নারীসহ ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়াগেছে। আহতদের মধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় সাফিয়া বেগম (৩৫), জুয়েল মিয়া (১৮) ও জসিম মিয়া (২০) কে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর ওমর আলী (৪০), মারুফ মিয়া (২৪) ও রহমত আলী (৪৫), শিল্পী বেগম (৩৫), মুসলিম উদ্দিন (৪০) সহ অন্যান্য আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কারণ যে কোন মূহূর্তে আবারও সংঘর্ষ হতে পারে এমন আশংকা রয়েছে বলে জানাগেছে।
এলাকাবাসী জানায়, জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেব পরিচিত চাঁরাগাঁও সীমান্তের লালঘাট, বাঁশতলা, কলাগাঁও, জংগলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে চোরাই পথে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করা হচ্ছে। গতকাল ০১.১১.২০ইং রবিবার সন্ধ্যায় সোর্স লেংড়া জামালের মাধ্যমে জংগলবাড়ি ও লামাকাটা এলাকা দিয়ে পাচাঁরকৃত কয়লার ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে জংগলবাড়ি গ্রামের ওমর আলী ও রহমত আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এঘটনাটি স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষনিক ভাবে সমাধান করে দেওয়ার আধাঘন্টা পর দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র ও লাটিসুটা নিয়ে আবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে ২ নারীসহ উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হয়। এঘটনার পরও আজ ০২.১১.২০ইং সোমবার ভোরে লালঘাট ও বাঁশতলা এলাকা দিয়ে চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার শাহালম ও এফএস জিকরুল সোর্স রমজান মিয়া, শফিকুল ইসলাম ভৈরব ও ইয়াবা কালাম মিয়াকে নিয়ে ১৫ মে.টন কয়লা পাচাঁর করে সীমান্তের বিশিস্ট চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী শহিদুল্লা, খোকন মিয়া ও বাবুল মিয়াকে দিয়েছে বলে জানাগেছে।
এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন- চারাগাঁও সীমান্তের চোরাচালান ও সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরেছি, এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উল্লেখ, এরআগে পাশ্ববর্তী লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে বিজিবি ও চোরাচালানীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ ১১ রাউন্ড গুলি বর্ষন করা হয়। এই সংঘর্ষের ঘটনায় নারী,শিশু ও বিজিবি সদস্যসহ ১৫ জন আহত হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ গং দিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু চারাগাঁও সীমান্তের চোরাচালান বন্ধ করার জন্য চোরাচালানী ও সোর্সদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছেনা।