পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী আকলিমা বেগমের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের
মোঃ কামরুজ্জামান শনিবার রাত ০৮:১৮, ৪ জুলাই, ২০২০
একরামুল ইসলাম, পীরগাছা (রংপুর): নিহতের স্বামী ফজল মাহমুদ বাদী হয়ে তার শ্যালক শহিদুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে ওই মামলা দায়ের করেন।
গতকাল শুক্রবার বিকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) আরমান হোসেন। তিনি জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্টের সময় লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার তালুক ঈসাদ (ডারারপাড়) গ্রামে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে আকলিমা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিন সন্তানের জননী আকলিমা বেগম ওই গ্রামের ফজল মাহমুদের স্ত্রী। ফলজ মাহমুদ পুলিশের এসআই পদে ঢাকা মেট্রোপলিটনের একটি থানায় কর্মরত।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তালুক ঈসাদ (ডারারপাড়) গ্রামের নুরুল ইসলাম ডলারের মেয়ে আকলিমা বেগমের সঙ্গে কুড়িগ্রামের বাসিন্দা ফজল মাহমুদের প্রায় ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ফজল মাহমুদ শ্বশুরবাড়ির পাশে জমি কিনে বাড়ি করেন। গত বুধবার রাতে স্বামীর বাড়ি থেকে পাশেই বাবার বাড়িতে তরকারি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন আকলিমা বেগম। এর পর থেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খুঁজে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
একপর্যায়ে ওই দিন বিকালে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে আকলিমার লাশ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শক্রতার জের ধরে বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে রাখা হয়। পরে লাশ ভেসে উঠলে লোকজন দেখতে পায়। পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী আকলিমা বেগমের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।