ঢাকা (রাত ১২:২২) মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

Join Bangladesh Navy


করোনা মোকাবেলায় মণিরামপুর খুচরা কাঁচাবাজার ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের বিশেষ নির্দেশনা জারি

মোঃ কামরুজ্জামান মোঃ কামরুজ্জামান Clock বুধবার সকাল ১১:৩৮, ৩ জুন, ২০২০

মোরশেদ আলম, যশোর প্রতিনিধি:  মণিরামপুর পৌর শহরের কাঁচা বাজারে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে ক্রেতা-বিক্রেতা ও সর্বসাধারনের জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছেন ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ। মণিরামপুর খুঁচরা কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাসেম আলী ও সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক মণিরামপুর খুচরা কাঁচাবাজার প্রায় দেড় মাস আগে মণিরামপুর সরকারি পাইলট স্কুল মাঠে স্থানান্তরিত করা হয়। বাজার থেকে স্কুল মাঠের দুরত্বের দরুন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অনেকটা ভোগান্তি হওয়ায় সম্প্রতি ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ করোনা মোকাবেলায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অঙ্গিকার করে প্রশাসনের সম্মতিতে পূর্বের নির্ধারিত জায়গায় বাজার বসিয়েছেন। সাথে সাথে মণিরামপুর খুচরা কাঁচা বাজারের নেতৃবৃন্দ ক্রেতা-সর্বসাধারন এবং সকল খুচরা কাঁচাবাজার ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছেন যে, মণিরামপুর পৌর শহরের প্রতিটি খুচরা কাঁচাবাজারে দোকান রাস্তা থেকে দুই ফুট পিছিয়ে বসানোসহ রাস্তার উপর ফুটপাতে কোন দোকান বসানো থেকে সকলকে বিরত থাকতে হবে। মুখে মাস্ক পরিধান ক্রেতাও বিক্রেতা উভয়ের জন্য বাধ্যতামূলক। মাস্কবিহীন কোন ক্রেতার কাছে মালামাল বিক্রি না করা,দোকানের সামনে ক্রেতাদের দুরত্ব বজায় রাখার জন্য সকল ব্যবসায়ীবৃন্দকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষভাবে নির্দেশনা জারি করা হয়। এ ছাড়া ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ নিজেদের দায়িত্বে তরকারি/কাঁচাবাজারের রাস্তায় কোন প্রকার যানবহন যাতে চলাচল করতে না পারে সে জন্য রাস্তায় প্রহরার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান। সোমবার দুপুরে সরেজমিন মণিরামপুর খুচরা কাঁচা বাজারে যেয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কোন প্রকার ভিড় বা গনজমায়েত দেখা মেলেনি। বাজারের পরিবেশ ছিলো বেশ সু-শৃংখল। প্রত্যেক ক্রেতা-বিক্রেতা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কেনাবেচা করেছেন। মানুষের নিত্যপন্য বিশেষ করে কাঁচাবাজারের পন্য সামগ্রী তরকারি বাজারের নির্ধারিত স্থান থেকে কিনতে পেরে অনেক ক্রেতা ভোগান্তি অনেকটা লাঘোব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। উপজেলার লাউড়ী গ্রামের আনন্দ দাস জানান, মণিরামপুর পাইলট স্কুলের মাঠে তরকারি বাজার স্থানান্তরিত হওয়ায় আমাদের দুরত্বের কারণে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হতো। এখন পূর্বস্থানে দোকানপাট বসানোতে সেই ভোগান্তির অবসান হয়েছে বলে তিনি বেশ খুশি ও আনন্দ প্রকাশ করেন। ব্যবসায়ী মুনছুর আলী জানান, পাইলট স্কুলের মাঠে দোকান দিয়ে ক্রেতার অভাবে কেনাবেচা ঠিকমত না হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলো। আবার আমরা নিজেদের স্থানে দোকান দিতে পেরে কেনাবেচা বেড়েছে বলে তিনি দাবি করেন। মণিরামপুর খুচরা কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের কাছে প্রতিশ্রতি দিয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ব্যবসা পরিচালনা করা এবং বাজারের ভিতর ভিড় ও লোকসমাগমন এড়িয়ে চলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে আমরা সর্বক্ষক্ষন বাজারে প্রহরার ব্যবস্থা করেছি এবং কাঁচাবজারের রাস্তায় যাতে কোন যানবহন চলাচল না করে সেদিকে সকলে মিলে সজাগ দৃষ্টি রাখছি।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT