ঢাকা (রাত ২:০৭) মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

সামনে কঠিন সময়, দরকার লকডাউন



দেশের প্রথিতযশা চিকিৎসক, চিকিৎসা খাতে পেশাজীবী সংগঠন, সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা মনে করছেন, দেশের সামনে কঠিন সময়। পুরো দেশ লকডাউন না করলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।

আজ সোমবার মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে আয়োজিত এক জরুরি বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। তাঁরা পাঁচ দফা সুপারিশও করেছেন। বৈঠকে উপস্থিত সূত্র বলেন, তাঁরা বলেছেন সারা দেশে এখনই লকডাউন জারি করা জরুরি। কারণ কমিউনিটিতে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে।দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুহার ১০ শতাংশের ওপরে, যা যেসব দেশে মহামারি হচ্ছে তার চেয়েও বেশি। একদিনে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। চিকিৎসকেরা মনে করেন, বাংলাদেশকে এখন ‘উচ্চ সতর্কতা’ গ্রহণ করতে হবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী। সেভাবে প্রস্তুতি না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

বৈঠকে বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আহমেদুল কবীর বলেন, দেশের সামনে কঠিন সময় আসছে। লকডাউন না করা হলে এই ভাইরাস আগামী ১০ দিনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক দীন মোহাম্মদ বলেছেন, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এখনই দেশে শক্ত অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন।

চিকিৎসকেরা পরীক্ষা নিরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ছুটি ঘোষণার পর লোকজনের বাড়ি যাওয়া, গার্মেন্টস খুলে তাদের ঢাকায় ফেরা আবার বন্ধ, তাঁদের ফেরত যাওয়ার কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে বলে তাঁরা মনে করেন। কিন্তু ঠিক কতটা ছড়িয়েছে তা পরীক্ষা না করলে বোঝা যাবে না।

চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বার খোলা রাখা বা বহির্বিভাগ চালু করার জন্য চাপ দিলে হিতে বিপরীত হবে। বৈশ্বিক পরিসংখ্যান বলছে, কমপক্ষে ৪৮ শতাংশ সংক্রমণ হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে। রোগীরা যদি চেম্বারে আসেন বা বহির্বিভাগে, তাহলে তাঁদের সেবাদানকারী প্রত্যেক ব্যক্তি এবং অন্যান্য রোগের রোগীরা আক্রান্ত হবেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা একের পর এক সংক্রমিত হলে পুরো ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এ ক্ষেত্রে তাঁদের সুপারিশ হলো জরুরি বিভাগের সেবাকে সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী করা এবং ফোনে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার পরিধি বাড়ানো।

বৈঠকে চিকিৎসকেরা যাঁরা এই জরুরি পরিস্থিতিতে সেবা দিচ্ছেন তাঁদের প্রণোদনা দেওয়ারও সুপারিশ করেন।

জরুরি ওই বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সালান, সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT