সাঘাটায় বোনারপাড়া-কচুয়াহাট রাস্তার উন্নয়ন কাজে স্থবিরতায় জনদুর্ভোগ চরমে
আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৬:১৭, ২৭ জানুয়ারী, ২০২২
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া চৌ-মাথা হতে কচুয়াহাট পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়ন কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।খোঁড়াখুঁড়ি অবস্থায় রাস্তার কাজ বন্ধ থাকার কারণে যানবাহনসহ জনসাধারণ চলাচলে দুর্ভোগ চরমে পৌঁঁছেছে।
জানা যায়, উপজেলা সদর বোনারপাড়া-কচুয়াহাট রাস্তা অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। রাত দিন ২৪ ঘন্টায় এ রাস্তায় বিভিন্ন যানবাহন অসংখ্য লোকজন চলাচল করে। কিন্তু রাস্তাটি ভাঙ্গাচুড়া ও বেহাল অবস্থা হওয়ায় সাঘাটা উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্লেমেন্ট প্রকল্পের আওতায় বোনারপাড়া জিসি-কচুয়াহাট আরএইচ রাস্তা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের জন্য হাতে নেয়।
রাস্তা প্রশস্তকরণ, রাস্তার দু’পাশের পানি নিস্কাশনের জন্য ৪টি বক্সকালভাট, ৪টি ইউড্রেন নির্মাণসহ রাস্তা কার্পেটিংয়ের লক্ষে প্রক্কলিত মূল্য ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয় বরাদ্দ ধরে বিগত ২০১৯ সালে কাজের টেন্ডার করা হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ঢাকার “এইচ,টি,বি,এল সিসিসি জেভি” নিয়ম অনুযায়ী রাস্তার কাজের দায়িত্ব পেয়ে ওই সালের নভেম্বর মাসের ১৮ তারিখে ডেপুটি স্পীকার আলহাজ্ব অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি’র মাধ্যমে কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। উক্ত কাজ ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল।
সে লক্ষে ঠিকাদার কাজ আরম্ভ করলেও মেয়াদ কালের মধ্যে কেবলমাত্র ৬টি বক্সকালভাট নির্মাণ করে। ৪টি ইউড্রেন নির্মাণ করার জন্য রাস্তা কেটে কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার কখনো কাজ শুরু করেন, কখনো বন্ধ করেন। জনসাধারণের প্রশ্ন গত দুই বছরে রাস্তার মাঝে কেবলমাত্র ৬টি বক্সকালভাট নির্মাণ হয়েছে। বাকী সিংহভাগ কাজ শেষ করতে আরো কত বছর লাগবে ?
এ ব্যাপারে রাস্তার কাজ তদারকির দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি কাজ স্থগিতের কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদার ঢাকায় অবস্থান করেন। তিনি এই কাজের প্রতি তেমন আগ্রহ না থাকায় এর আগে কাজ বাতিল হয়েছিলো। পুনরায় কার্যাদেশ নিয়ে রাস্তার মাঝে ৬টি বক্সকালভাট নির্মাণ করার পর বাকী কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এদিকে কাজের মেয়াদকাল শেষ হয়েছে, এ কারণে প্রকল্পের কাজ বাতিলের জন্য অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।