সময় পেরিয়ে গেলেও অপসারিত হয়নি পশুর হাটের বর্জ্য
ডেক্স রিপোর্ট শনিবার রাত ০১:২৬, ২৪ জুলাই, ২০২১
দ্রুততর সময়ে কোরবানি করা পশুর বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশন সাফল্য দেখালেও হাটের বর্জ্য অপসারণে উদাসীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রাজধানীর হাটগুলোতে এখনও পড়ে আছে পশুর বর্জ্য। সিটি করপোরেশন বলছে, বর্জ্য পরিষ্কারের দায়িত্ব ইজারাদারদের। দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর গাবতলী অস্থায়ী পশুর হাটের বর্ধিতাংশে দেখা যায়, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বর্জ্য। কোথাও কাদাপানিতে পশুর চামড়াও পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পশুর বর্জ্যের ফেলে রাখা স্তূপ থেকে ছড়াচ্ছে উৎকট দুর্গন্ধ। এছাড়া মাঠ ও সড়কের এখানে-সেখানে পড়ে আছে মাস্ক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা বলেছেন, আবর্জনার দুর্গন্ধে চলাফেরা করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর হাট সরে যাওয়ার পরে দায়সারাভাবে পরিষ্কার করায় সড়কে আবর্জনা থাকে দীর্ঘদিন। আর পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, দ্রুত পরিষ্কার না হলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ দুর্যোগ বয়ে আনবে।
গাবতলী হাটের পরিচালক বলেন, ‘হাট পরিষ্কারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। পরিষ্কারের টাকা অগ্রিম দেয়া আছে। ঈদের পরের দিন করার কথা হলেও এখনও তারা পরিষ্কার করেনি। প্রতি বছরই ঈদের দিন করে, এ বছর করেনি।’
তবে হাটের পরিষ্কারের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডোর এম সাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘হাটগুলো থেকে বর্জ্য সরানোর কথা ইজারাদারদের। টার্মস এবং কন্ডিশনে এটা বলা আছে। ঈদের পরের দিনের মধ্যে সরানোর কথা। তা না হলে তাদের জামানতের টাকা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হবে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘এগুলাতো ঠিকমতো পরিষ্কার করতেই হবে। তা না হলে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটবে। এটা অপসারণ না করলে নগরী বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইজারাদারদের কন্ডিশনে পরিষ্কারের কথা বলে আছে। তারা যদি না করে তাহলে সরকারের দায়িত্ব এটা পরিষ্কার করা।’