মৌলভীবাজার জেলার  শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবির ইউনিয়নের আলিশারকুল এলাকায় আসমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।

রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার আলিশারকুল এলাকার একটি বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।মৃত গৃহবধূ আসমা বেগমের হাতে একটি চিরকুট লিখা রয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহত আসমা উপজেলার আলিশারকুল এলাকার মতলিব মিয়ার মেয়ে বলে জানা যায়। নিহত আসমার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন আসমা বেগমকে তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

জানা যায়,শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভুনবীর ইউনিয়নের রাজপারা এলাকার মৃত ছোবান মিয়ার ছেলে মো. আব্দুল হালিমের (২২) সঙ্গে চার মাস পূর্বে মৃত আসমা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়, এর পূর্বে আসমা বেগমের আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। কিন্তুু সাবেক স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় আসমার সেই সংসার ভেঙে যায় এবং সেই সংসারে তার একটি ছয় বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে।

আব্দুল হালিম পেশায় একজন শ্রমিক,বয়সের দিক দিয়ে স্বামী আব্দুল হালিম স্ত্রী আসমা বেগমের থেকে প্রায় আট বছরের ছোট। কিন্তুু বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে আসমা বেগমের স্বামী আব্দুল হালিম জানান, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে তারা খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান। রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার স্ত্রী পাশে নেই। তিনি ঘরের মধ্যে স্ত্রীকে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে  হঠাৎ দেখতে পান তার স্ত্রী ঘরের উপরে তীরের সঙ্গে মাফলার গলায় দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলানো অবস্থায় রয়েছে। তিনি তখন চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে লাশ নিচে নামান। এ সময় আসমা বেগমের হাতের মধ্যে আত্মহত্যার একটা চিরকুট লেখা দেখা যায় বলে তিনি জানান।

তবে নিহত আসমা বেগমের বড়বোন আলেয়া বেগম জানান, আমার বোন আত্মহত্যা করার কথা নয়। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক ঝামেলা ছিল। আমাদের ধারণা আমার বোনকে তার স্বামী পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আব্দুছ ছালেক জানান প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। তবে স্বামীর প্ররোচনায় আসমা বেগম আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। হাতের লেখার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে এক্সপার্ট দিয়ে পরীক্ষা করা হবে এবং তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।