যাত্রীসেবায় নির্ভরতার প্রতীক আর এম এন্টারপ্রাইজ
এইচএম দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা বুধবার দুপুর ০৩:২৫, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
মহাসড়ক থেকে সিএনজি ও অটোরিকশা উঠিয়ে দেওয়ার পরপরই ঢাকা–চট্রগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁও থেকে দাউদকান্দি টোলপ্লাজায় আরএম এন্টারপ্রাইজ এর ৪০টি মিনিবাস নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রায় ৫ বছর যাবৎ যাত্রীসেবা দিয়ে যাচ্ছে।
এই রুটে স্থানীয়দের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে এই পরিবহন সংস্থাটি। যাত্রীসেবার উত্তরোত্তর মান বৃদ্ধি করণে সাধারণ মানুষের নিরাপদ নির্ভরতার প্রতীক হয়েছে।
প্রায় ২৫ কিলোমিটার জুড়ে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সেবা দিচ্ছে এই পরিবহনের মিনিবাসগুলো। দক্ষ চালক ও হেলপার আর মালিকপক্ষের সমন্বয়ে ত্রুটিপূর্ণভাবে সেবা দিচ্ছেন আর এম এন্টারপ্রাইজ।
যাত্রীদের নেই কোনো অভিযোগ, সেবার পরিধি বাড়াতে আরও কিছু মিনিবাস যোগ হতে পারে এই পরিবহন বহরে।
বলা যায়–এই রুটে মিনিবাস সার্ভিস চালু হওয়াতে স্থানীয়দের ভোগান্তি কমেছে, অপরদিকে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। কমেছে বেকারত্ব। স্থানীয় হাটবাজারগুলোও জমে ওঠেছে।
ভবেরচর স্ট্যান্ড থেকে আসা এক মধ্য বয়সী পুরুষ জানান, এই বাসগুলো থাহাতে আমরা সহজে আসা যাওয়া করতে পারছি, আগে আমগো সমস্যা ছিলো।
দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে সোনারগাঁও এর উদ্দেশ্য যাওয়া এক মহিলা যাত্রীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, সিএনজি ও অটোরিকশা না থাকায় আমরা হাইওয়ে রুটে চলতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হত, এই রুটে মিনিবাস সার্ভিস চালু হওয়ার পর থেকে আমরা সহজে একস্থান থেকে অন্যত্রে আসা যাওয়া করতে পারছি।
গজারিয়া বাউশিয়া গ্রামের ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজ এর এক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের এলাকার অনেক শিক্ষার্থী ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজে অধ্যয়ন করছে, আমরা আগে এই কলেজে আসা যাওয়া করতে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। এখন এই মিনিবাসসার্ভিস চালু থাকায় সময় বাঁচে এবং সময়মতো আমরা কলেজে আসতে পারছি।
মালিকরাও চায়, এই রুটে তাদের যাত্রীসেবার মান বাড়াতে। এজন্য তারা গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধিসহ নানা ইতিবাচক উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন।