মৎস্য উপকরণ বিতরণের তথ্য উপজেলা মৎস্য অফিসার এবং সিআইজিগণের অজানা (পর্ব-০১)
মোঃ কামরুজ্জামান রবিবার রাত ১১:২৪, ১৭ মে, ২০২০
মো. শাকিল হোসেন শওকত, নাগরপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ (পর্ব-০১) টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে আজ ১৭ মে রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মৎস্য সিআইজি খামারিদের প্রণোদনা সহায়তা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এসব সিআইজি খামারিদের এই প্রণোদনা দেয়ার সময় কি কি দেয়া হচ্ছে এই তথ্য উপজেলা মৎস্য অফিসার নাজমুন নাহার এবং সিআইজিগণের অজানা ছিল।
রবিবার দুপুরে উপজেলার বাবনাপাড়ার একটি পুকুর থেকে যখন ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজির ফেজ ২ এর এনএটিপি-২ সিআইজিদের মাছের পোনা, খাদ্য ও সাইনবোর্ড দেয়া হচ্ছিল তখন নাগরপুর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা নাজমুন নাহার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমারা উপজেলার মোট ২৪ জন সিআইজি খামারিদের প্রতিটি খামারিকে ৯ বস্তা খাদ্য, ১টি সাইনবোর্ড ও মাছের পোনা দেবো। কত কেজি মাছের পোনা দেয়া হবে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখন এই তথ্য আপনাকে দিতে পারছিনা। পরে অফিসে আসে তথ্য নিয়ে যেতে পারবেন। পরে, আগত সিআইজি খামারিদের সাথে কথা বল্লে তারও বলেন, আমাদের জনপ্রতি সিটি ফিড কোম্পানির ৯ বস্তা খাদ্য আর ১টি সাইনবোর্ড দিয়েছে। মাছ কত কেজি দেবে এটা আমাদের জানা নেই। মৎস্য অফিস থেকে এ বিষয়ে তাদের জানানো হয়েছে কি না এমন প্রশ্ন করলে তারা বলেন, আমাদের শুধু কাগজে স্বাক্ষর, টিপসই নিয়েছে কিন্তু কয় কেজি মাছের পোনা দেবে তা তো বলেনি। এসব মাছ সরবরাহকারি মো. শহিদ মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাকে ৬০০ কেজি পোনা দেয়ার কন্টাক্ট দেয়া হয়েছে। আমার জানা মতে, ২৪ জনকে ২৫ কেজি করে পোনা দেয়ার কথা। কত টাকা দরে এসব পোনা সরবরাহ করা হচ্ছে প্রশ্ন করায় তিনি মুঠোফোনে তা বলতে অস্বীকার করেন। তবে ইঙ্গিত করেন প্রতি কেজি দর মেটানো ২৫০ টাকা এর উপরে। করোনার কারনে যেখানে সকল খামারিদের গুনতে হচ্ছে লোকসান। সেখানে নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন মৎস্য খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কার্প জাতীয় মাছের পোনার বর্তমান বাজার দর প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ১২৫-১৫০ টাকা। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, নাগরপুর উপজেলার মৎস্য অফিস থেকে প্রকৃত পক্ষে প্রতিটি সিআইজি খামারিদের প্রণোদনা সহায়তায় কি দেয়ার নির্দেশনা ছিল? আর তাদের কি দেয়া হয়েছে। এই প্রণোদনার বাজেট কত টাকার ছিল, কত জন সিআইজি সদস্যের জন্য। যথাযথ কর্তৃকপক্ষের এই বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।