মৌলভীবাজার জেলায় প্রথম ধাপে করোনা ভ্যাকসিন নিলেন সংসদ সদস্য সহ ৮১৬ জন
মোঃ জাকির হোসেন,মৌলভীবাজার রবিবার সন্ধ্যা ০৭:৪৮, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেছেন।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১.৩০ মিনিটের সময় শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকার টিকাদান কেন্দ্রে তিনি এ টিকা গ্রহণ করেন।
এসময় গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হতে নিরাপদ রাখতে জনগণকে টিকা গ্রহণের আহবান জানান মন্ত্রী তিনি বলেন আমি নিজেও করোনা আক্রান্ত ছিলাম তাই আমি চাই আমার দেশের কোন মানুষ যেনো আমার মতো করোনা আক্রান্ত না হয়।
এদিকে আজ ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ ঘটিকার সময় শ্রীমঙ্গলে প্রথম করোনার টিকা নিলেন অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে তিনি প্রথম টিকা গ্রহণ করেন।
এ সময় আব্দুস শহীদ এমপি বলেন, আমি নিজেও করোনায় আক্রান্ত ছিলাম। তাই জনগণের মাঝে সাহস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭৬ বছর বয়সে আমি প্রথম করোনার টিকা নিলাম। তিনি বলেন করোনার টিকা নিয়ে অনেকেই গুজব ছড়াচ্ছে। কেউ যেন গুজবে কান না দেয় সেজন্য আমি নিজেই প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছি। তিনি আরো বলেন পৃথিবীর উন্নত ২/৪ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। যে দেশের সরকার জনগণের জীবনের কথা চিন্তা করে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছে। সেজন্য তিনি সরকার প্রধান সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী এসময় উপস্থিত ছিলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হরিপদ রায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রেম সাগর হাজরা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু নাহিদ, শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুছ ছালেক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক শহীদ হোসেন ইকবাল, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, আশিদ্রোন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নরেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন, কালীঘাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা প্রমুখ।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, করোনা প্রতিরোধমুলক ভ্যাকসিন (টিকা) ৫ হাজার ডোজ শ্রীমঙ্গলে এসে পৌঁছেছে। যা ২ হাজার ৫ শত মানুষকে দেয়া হবে। প্রতি একজন পাবে ২ ডোজ করে। করোনার টিকা নিতে এখন পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ১৫১১জন রেজিস্ট্রেশন করেছে। প্রথম দিন ২শ’ জনকে করোনার ভ্যাকসিন (টিকা) দেয়া হবে। প্রথম ধাপে এ কার্যক্রম চলবে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাড়া দেশের ন্যায় মৌলভীবাজারেও কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের টিকাদান কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করা হয়েছে।৭ ফেব্রয়ারি (রোববার) সকাল ১১ ঘটিকার সময় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে প্রথম করোনা টিকার আনুষ্ঠানিকতার উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিভিল সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দীন মোর্শেদ ,তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ পার্থ সারথি দত্ত, উপপরিচালক ডা: বিনেন্দু ভৌমিক, আবাসিক মেডিকেল অফিসার আহমেদ ফয়সাল জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম পর্যায়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধমুলক ভ্যাকসিন (টিকা) নেন মৌলভীবাজার ও রাজনগর ৩ আসনের সাংসদ নেছার আহমদ এমপি, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দীন মোর্শেদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শরিফুল ইসলাম, মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ সালাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল হামিদ মাহবুব, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদসহ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা,জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক গন।
প্রতি(শুক্রবার ও সরকারি অন্যান্য ছুটি ব্যতীত) প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত টিকাদান কর্চমসুচি চলমান থাকবে। এপর্যন্ত মৌলভীবাজার জেলায় করোনা টিকা গ্রহন করতে নিবন্ধন করেছেন ৫হাজার ৭শত ৫৪ জন। আজ প্রথমদিন জেলায় সব মিলিয়ে টিকা নিবেন ৮১৬জন।
এরমধ্যে মৌলভীবাজার ২৫০শয্যা হাসপাতালে টিকা গ্রহন করবেন ২৯৭ জন, রাজনগরে ৫০জন, কুলাউড়ায় ৩৯জন, বড়লেখা-১০০জন, শ্রীমঙ্গলে ২০০জন, জুড়ী৩০ জন এবং কমলগঞ্জ ১০০জন। করোনা টিকা প্রদানের জন্য সদর হাসপাতালে ৮টি বুথ ও প্রতিটি উপজেলায় ৩টি করে বুথ খোলা হয়েছে।