মোতালেব মেম্বারের বিরুদ্ধে কৃষকের জায়গায় দখলের অভিযোগটি পারিবারিকভাবে নিষ্পত্তি
মো.শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর,টাঙ্গাইল সোমবার রাত ০২:৩৭, ২৯ আগস্ট, ২০২২
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য মো. মোতালেব হোসেন ওরফে সাগরের বিরুদ্ধে; কৃষক খঃ আহসানের বসতভিটা দখলের অভিযোগটি উভয় পক্ষের পরিবারবর্গ তাদের নিয়ে বসে সুষ্ঠু সমাধান করে দিয়েছেন।
উপজেলার কোকাদাইর গ্রামের মৃত খন্দকার শাজাহানের ছোট ছেলে মোতালেব মেম্বারের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করেছিলেন, এর প্রেক্ষিতে বিষয়টি সহবতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তোফায়েল আহমেদের অনুমতিতে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের কালাম মোল্লার বাড়িতে; ২৬ আগষ্ট শুক্রবার বিকেলে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ কিবরিয়া মোল্লার সভাপতিত্বে ও সহবতপুর বাজার বণিক সমিতির সফল সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জিকরুল হাসান পিয়াসের সঞ্ছালনায়; এ সময় উপস্থিত ছিলেন-বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কালাম মোল্লা, খন্দকার আহসান ও মৃত মহিউদ্দিন মটুর পরিবারের পক্ষে খন্দকার লাবু এবং মোতালেব হোসেন সাগর মেম্বারের প্রতিনিধি সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. ইব্রাহিম মিয়া, মৃত মহিউদ্দিনের স্ত্রী, দুই ছেলে, মেয়ে এবং মৃত মহিউদ্দিন ও আহসানের মা ও বোনেরা।
উভয়ের সকল জমিজমার কাগজপত্রাদী পর্যালচনা করে উপস্থিত সকলে বুঝতে পারেন, জমিজমা পরিমাপ না করে ভোগদখলের জন্য তাদের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝির সৃষ্টি এবং এ থেকে ঘটনার পরিধির বিস্তার ঘটে। তাই দলিল অনুয়ায়ী, জমির সকল দাবিদারদের জমির সঠিক পরিমাপ করে; ভোগদখলের ঐক্যমতে উপনীত হন উপস্থিত সকলে।
প্রত্যেকের ন্যায্য পাওনা জমি পরিমাপ করে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাদের বুঝিয়ে দেয়ার কথায় ওয়াদা বদ্ধ করান উভয় পক্ষকে। ওনারা শান্তি রক্ষায় আরো বলেন, আপনাদের উভয়ের মনোনীত আমিন দিয়ে আপনাদের জায়গার দলিল অনুয়ায়ী পরিমাপ করা হবে। পরিমাপের পর কারো জায়গায় যদি অন্য কারো কোন প্রকার স্থাপনা থেকে থাকে, তবে সে সকল স্থাপনা আপনারা নিজ নিজ দায়িত্বে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে নেবেন।
এছাড়াও বৈঠকে উপস্থিতি অনুধাবন করেন, মটু’র মৃত্যুর পর তার ওয়ারিসগণ ও আহসান সঠিকভাবে পরিমাপ না করে জমি ভোগ করায় এমন ভুলবোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এবং মোতালেব মেম্বার এর মধ্যে জমি ক্রয় করে ঝামেলায় পতিত হয়। এ বৈঠকে মোতালেব মেম্বার মৃত মটুর ওয়ারিসগণের কাছ থেকে ফারাজ অনুযায়ী ১০৯ শতাংশ জমি বৈধ ভাবে ক্রয় করেন সে সকল দলিলপত্রও পর্যালচনা করে দেখেন উপস্থিত সকলে। দলিল ও ফারাজ দেখে মোতালেব মেম্বার, বৈধ ভাবে জায়গার ক্রয় করেছেন, এটাও প্রতীয়মান হয়।
বৈঠকে আরো সিন্ধান্ত হয়, আপনারা উভয় পক্ষ যে সকল মামলা, অভিযোগ দায়ের করেছেন তাও নিজ নিজ দায়িত্বে প্রত্যাহার করবেন।
উল্লেখ্য; খন্দকার আহসান, মৃত মহিউদ্দিনকে তার জীবদ্দশায় জমি কেনার জন্য যে টাকা প্রদান করেছিলেন, সে টাকাও মৃত মহিউদ্দিনের পরিবার ফেরত দেবেন।
পারিবারিক এ আপোষ বৈঠকে উভয় পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমন সহজ ও শান্তিপূর্ণ সমাধান পেয়ে উভয় পক্ষ হাসি মুখে কোলাকুলি করে বলেন, আমরা ভবিষ্যতে একে অপরের ভালো প্রতিবেশী হিসেবে থাকবো।