মূল্যবান মুদ্রা বিক্রির নামে প্রতারণায় হাতিয়ে নিতো লাখ লাখ টাকা
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি বুধবার রাত ০৮:২০, ১৯ অক্টোবর, ২০২২
মুদ্রাগুলো অনেক মূল্যবান এবং উচ্চ বিকিরণ জাতীয় পদার্থ। বিশ্ববাজারে এর মূল্য অনেক বেশি। এসব নানান কথা বলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল একটি সংঘবদ্ধ চক্র। সহজ-সরল কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে তাদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী করে তাদের বিশ্বাস অর্জন করায় ছিল প্রথম কাজ। এক পর্যায়ে সাধারণ লোকজন তাদের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের সর্বস্ব অর্থ তাদের কাছে প্রদান করে। এভাবেই প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এলাকা হতে উধাও হয়ে যায়।
এমনই এক সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ ৬ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে নাটোর জেলার লালপুর থানার দুরদুরিয়া গ্রাম হতে তাদেরকে আটক করা হয়। একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করে র্যাব-৫ সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) মধ্য রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব-৫ সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্প।
আটককৃতরা হলেন- নাটোরের লালপুর থানার দুড়দুড়িয়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে আব্দুল আলিম (৩০), একই এলাকার এছার উদ্দিন সরকারের ছেলে টিপু সুলতান (৪০), মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুল কাদের (৪৫), তমিজ উদ্দিনের ছেলে তারিক আলী (৪০), মৃত মফির উদ্দিনের ছেলে মোন্তাজ আলী (৪৪) ও মৃত ওমর আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)।
র্যাব জানায়, সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে চারটি জাল মুদ্রা, দুইটি চৌম্বক গ্যাস, একটি মুদ্রা রাখার বাক্স, চার বোতল মিশ্রিত রাসায়নিক পদার্থ, একটি গ্যাস সিলিন্ডার ও নগদ পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় অতি মূল্যবান মুদ্রা বিক্রির নামে প্রতারনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব আরও জানায়, প্রতারণার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে র্যাবের একটি চৌকস দল। এ ঘটনায় নাটোর জেলার লালপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।