ঢাকা (বিকাল ৩:৫৩) বুধবার, ১৫ই মে, ২০২৪ ইং

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে এখন ৩৯.০৪ বিলিয়ন ডলার



আমদানি ব্যয় মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৫৩ মিলিয়ন ডলার বিক্রির পর মঙ্গলবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯.০৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। জুলাই থেকে শুরু হওয়া চলতি অর্থবছর-এ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন পর্যন্ত প্রায় ২.৪৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। এর মধ্যে দিয়ে এফওয়াই-২২ সালে রিজার্ভ থেকে রেকর্ড ৭.৬২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, টানা দ্বিতীয় দিনে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করা হয়েছে। সোমবার (২৯ আগস্ট) রিজার্ভ থেকে ১৬৪ মিলিয়ন ডলার বিক্রি হয়েছে।

জুলাই শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৯.৬০ বিলিয়ন ডলারে। এ গতিতে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকলে স্বল্প সময়ের মধ্যে রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডলারের বাজার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) বৈঠক করে।

বৈঠকে এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আরএফ হোসেনসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যাংকাররা ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার ও আন্তঃব্যাংক বিনিময় প্ল্যাটফর্ম সক্রিয় করার পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে ডলারের সহায়তা বৃদ্ধিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। তাদের মতে, এর ফলে ডলারের জন্য বাজারের ওপর নির্ভরতা কমে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলারের বাজার স্থিতিশীল করা আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। বাজার তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানিসহ সরকারের কিছু খাতে কেনার বিষয়টি আমাদের বিবেচনা করতে হবে। বেসরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এলসি নিষ্পত্তির জন্য ডলার না থাকলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার বিক্রি করা হয়। আমরা এটিকে সম্মান করতে থাকি।

খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকায়

ব্যাংকগুলোতে সামান্য পতন হলেও খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়েছে। মঙ্গলবার মানি চেঞ্জাররা গ্রিনব্যাক বিক্রি করেছে ১১২ টাকায়, যা আগের দিনের ১১১ টাকা থেকে বেড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার নগদ ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৯ টাকায়। এর আগে অনিয়মের অভিযোগে পাঁচ মানি চেঞ্জারের কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক ৪২ জন মানি চেঞ্জারকে বিভিন্ন অভিযোগে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। একইসঙ্গে সংস্থাটি ২৮ জন মানি চেঞ্জারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ১০৮ টাকায় আমদানি এলসি নিষ্পত্তিতে ডলার বিক্রি করেছে। সোমবার সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা দর নেয়া হয়েছে।

কিন্তু বেসরকারি ব্যাংকগুলো গত কয়েক দিন ধরে এলসি সেটেলমেন্টে ডলারের জন্য কিছুটা কম চার্জ নিচ্ছে। এছাড়া মঙ্গলবার ডলারের দাম কিছুটা কমিয়েছে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলো। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ১১০ টাকায়। তবে বাজারে এখনো ডলারের সংকট রয়েছে।

ডলারের ঘাটতি থাকলেও আগামী কয়েকদিনে ডলারের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তত দুটি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানরা। তারা বলেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যে ডলারের দাম কমিয়েছে। তবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলি এখনও ডলারের জন্য উচ্চ চার্জ নিচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টদের আশা কয়েক দিনের মধ্যে এটি কমিয়ে আনা যাবে।

শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর




© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT